পৃথক দু’টি পথ দুর্ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন আরও দু’জন।
শুক্রবার রাত ১০টা নাগাদ প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে ইলামবাজার মোড়ের কাছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। একটি পাথর বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে খালি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মারা যান দু’টি ট্রাকেরই চালক। পুলিশ জানিয়েছে, পাথর বোঝাই ট্রাকের চালকের নাম শ্যামল মিয়াঁ (২২) এবং অন্য ট্রাকের চালকের নাম শেখ মিনু (২৭)। প্রথম জনের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের রায়রিয়া চক এলাকায় এবং দ্বিতীয় জন ইলামবাজারের সুগড় গ্রামের বাসিন্দা। দুর্ঘটনার পরে দুই গাড়ির খালাসিকে উদ্ধার করে ইলামবাজার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেছে পুলিশ। ওই দুর্ঘটনার জেরে রাতে ঘণ্টাখানেকের জন্য যান চলাচল ব্যাহত হয় ওই রাস্তায়। পরে দুই ট্রাক চালকের দেহ ঘটনাস্থল থেকে তুলে ময়না-তদন্তের জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত ১১টা নাগাদ ওই রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। শনিবার সকালে ওই রাস্তায় বেপরোয়া যান চলাচলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দাদের একাংশ। এলাকায় প্রয়োজনীয় পুলিশি নজরদারি এবং যানবাহনের গতিবেগ নিয়ন্ত্রণের দাবি তোলেন তাঁরা।
অন্য দিকে, শুক্রবার গভীর রাতে মাড়গ্রামের বেনেগ্রামে ঘুমন্ত অবস্থায় দশ চাকা লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। পুলিশ জানায়, মৃত মিঠুন ধীবরের (২৯) বাড়ি মহম্মদবাজার থানার সেকেড্ডা গ্রামে। ঘটনায় আরও দু’জন জখম হয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘটনার পরে ধরতে গেলে লরি চালক অক্ষয় ধীবর সোমনাথ ধীবর নামে এক যুবককে বাঁশ দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যান। এলাকাবাসীর একাংশ, লরির খালাসি সুশীল ভকতকে আটক করে মারধর করে। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে আটক করে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বেনেগ্রামে শুক্রবার একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন মিঠুন। রাতে অত্যধিক গরমের জন্য বিয়ে বাড়ি লাগোয়া একটি খেলার মাঠে আরও পাঁচ জনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিলেন। অভিযোগ, রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ বেনেগ্রামেরই বাসিন্দা অক্ষয় মাঠ দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময়ে ঘুমন্ত মিঠুনদের উপর দিয়ে তাঁর দশ চাকার লরির চাকা চাপিয়ে দেন। ঘটনাস্থলেই মিঠুনের মৃত্যু হয়। বাকিরা কোনও রকমে প্রাণে বেঁচে যান বলে দাবি মিঠুনের জামাইবাবু সোমনাথ ধীবরের। তাঁর অভিযোগ, ‘‘একমাস আগে মাঠে মাছ ধরা জাল শুকানোকে কেন্দ্র করে বচসার জেরে অক্ষয় ধারাল অস্ত্র নিয়ে আমাকে মারতে এসেছিল। রাতে মদ্যপ অবস্থায় অক্ষয় ইচ্ছাকৃত ভাবে লরিটিকে মিঠুনদের উপরে চালিয়ে দেয়।’’ পুলিশ জানায়, ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, লরিটি মাঠে ব্যাক করার সময়ে কোনও ভাবে চাকায় পিষ্ট হয়ে যায় মিঠুন। চালকের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।