Viswabharati

Visva Bharati University: আদালতের নির্দেশই সার, এখনও ক্লাসে যোগ দিতে পারলেন না বিশ্বভারতীর ৩ পড়ুয়া

অনলাইন ক্লাসে প্রবেশ করার জন্য মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত তাঁদের কোনও লিঙ্কও পাঠানো হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে বিষয়টি নিয়ে ফের উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:২৫
Share:

বিশ্বভারতীতে টানাপড়েন অব্যাহত। —ফাইল চিত্র।

বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে পড়ুয়াদের বিরোধ মিটছে না। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে আন্দোলনকারীদের ক্লাসে ফেরানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পড়ুয়াদের অভিযোগ, গত ৮ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত নির্দেশ দিলেও, মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁরা ক্লাসে যোগ দিতে পারেননি। এমনকি অনলাইন ক্লাসে প্রবেশ করার জন্য মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত তাঁদের কোনও লিঙ্কও পাঠানো হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে বিষয়টি নিয়ে ফের উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

আন্দোলনকারী তিন পড়ুয়া সোমনাথ সৌ, ফাল্গুনী পান এবং রূপা চক্রবর্তীর অভিযোগ, আদালতের নির্দেশের পর বেশ কয়েক দিন কেটে গেলেও তাঁদের ক্লাসে যোগ দেওয়ার কোনও ব্যবস্থাই করেননি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছেও আবেদন করা হলেও, তাতে কোনও সুরাহা হয়নি বলে তাঁদের দাবি। তাই মঙ্গলবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননায় মামলা দায়ের করেছেন ওই পড়ুয়ারা। বুধবার হাই কোর্টে মামলাটি শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। এ নিয়ে আন্দোলনকারীদের অন্যতম সোমনাথ বলেন, ‘‘ক্লাসে যোগ দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ কোনও সুব্যবস্থা করছেন না। তাই আমরা আদালতের দ্বারস্থ হলাম। আমরা চাই, আদালত উপযুক্ত পদক্ষেপ করুক।’’

আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের ক্লাসে যোগ দেওয়া নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যেই নতুন বিতর্ক দানা বেঁধেছে বিশ্বভারতীতে। আদালতের নির্দেশ অবমাননা করে ফের বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসের সামনের গেট বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যুতের বিরুদ্ধে। যার জেরে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। শান্তিনিকেতন থানা এবং দমকলের দফতরে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অনেকেই। ঘটনাচক্রে কয়েক দিন বিরতির পর সোমবার কাজে যোগ দেন বিদ্যুৎ। তার পর মঙ্গলবার থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় গেটগুলি।

Advertisement

গেট বন্ধের ঘটনায়, শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে আন্দোলনকারীদের তরফে। গেট বন্ধে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে নিশানা করে আমিনুল হুদা নামে মেলার মাঠ বাঁচাও কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘‘উনি আদালতের নির্দেশ অমান্য করছেন। ওঁর বিরুদ্ধে যত কম কথা বলা যায় ততই ভাল। উনি স্বেচ্ছাচারিতা করছেন।’’ পৌষমেলা বাঁচাও কমিটির সম্পাক সুনীল সিংহের মতে, ‘‘এই উপাচার্য আদালতের নির্দেশ মানছেন না। আদালত দুটো গেট খোলা রাখার নির্দেশ দিলেও মানছেন না। বুধবার শুনানি আছে। দেখা যাক কী হয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন