Waterlogged Bankura

টানা বৃষ্টিতে বানভাসি বাঁকুড়ার বেশ কয়েকটি রাস্তা ও সেতু, দ্বারকেশ্বর থেকে উদ্ধার নিখোঁজ প্রৌঢ়ের দেহ

ভারী বৃষ্টি না হলেও মঙ্গলবার দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে বাঁকুড়ায়। তার জেরে জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে নদীগুলিতে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৫ ১৯:৪০
Share:

জলমগ্ন বাঁকুড়ার বিভিন্ন এলাকা। — নিজস্ব চিত্র।

টানা বৃষ্টিতে আবার জলস্তর বাড়তে শুরু করল বাঁকুড়ার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীগুলিতে। সোমবার বিকেল থেকে দ্বারকেশ্বর, গন্ধেশ্বরী, শিলাবতী, কংসাবতী, ভৈঁরোবাঁকি এবং শালী নদীতে জলস্তর বাড়তে শুরু করে। তার জেরে জলমগ্ন বাঁকুড়া জেলার বহু রাস্তা এবং সেতু। এই আবহে মঙ্গলবার বাঁকুড়ার দ্বারকেশ্বর নদের সুরপানগর ঘাট থেকে উদ্ধার হয়েছে এক ব্যক্তির পচাগলা দেহ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় (৫৫) নামে ওই ব্যক্তি গত শুক্রবার দ্বারকেশ্বর নদের পাটপুর সংলগ্ন ঘাটে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যান। তার পর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ মেলেনি। যেখানে ডুবে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে সুরপানগর ঘাটে মঙ্গলবার তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।

Advertisement

মাঝে দিন তিনেকের বিরতি ছিল। কিন্তু নিম্নচাপের জেরে সোমবার থেকে আবার দফায় দফায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে বাঁকুড়া জেলায়। ভারী বৃষ্টি না হলেও মঙ্গলবার দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে বাঁকুড়ায়। তার জেরে জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে নদীগুলিতে। এমনিতেই দ্বারকেশ্বর নদের জলে গত বেশ কিছুদিন ধরে ডুবে রয়েছে মীনাপুর ও ভাদুল কজওয়ে। ফলে ওই দুই কজওয়ে দিয়ে বন্ধ রয়েছে যাতায়াত।

মঙ্গলবার শিলাবতী নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় জলমগ্ন হয়েছে খাতড়া-বাঁকুড়া সড়কের উপরে থাকা হাড়মাসড়া গ্রাম সংলগ্ন ইটাপোড়া সেতু। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় ওই সেতু দিয়ে যাতায়াত সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। এর ফলে মহকুমা সদর খাতড়ার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে তালড্যাংরা ব্লকের একাংশের।

Advertisement

অন্য দিকে, জমা জলে দুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের বেশ কিছু গ্রামে। মঙ্গলবার সকালে বিষ্ণুপুর ব্লকের ধানগোড়া থেকে জনতা গ্রামে যাওয়ার রাস্তায় জল জমেছে। ধানগোরা থেকে বাগানেপাড়া যাওয়ার রাস্তাতেও জমেছে হাঁটুজল। ধানগোড়া থেকে পাত্রসায়ের যাওয়ার রাজ্য সড়কের উপরেও বিভিন্ন জায়গা জলে ডুবে যায়। ধানগরা মোড়ে রাস্তার ধারের বেশ কিছু দোকানে এক হাঁটু জল জমে যায়। স্থানীয়দের দাবি, বৃষ্টিতে স্থানীয় শালবাঁধ এবং মোলবাঁধ, এই দু’টি দিঘি থেকে আসা জলে এলাকা জলমগ্ন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement