Birbhum

স্বামীর পরকীয়ার প্রমাণ খুঁজতে গিয়ে পেলেন শাবলের আঘাত! রক্তাক্ত অবস্থায় রাতভর পড়ে মাঠে

সারা রাত রক্তাক্ত অবস্থায় ফাঁকা জায়গায় পড়েছিলেন মুক্তা। সকালে তাঁকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা খবর দেন মুক্তার শাশুড়িকে। এর পর সবাই মিলে ওই বধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

খয়রাশোল শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৩ ১৬:১৪
Share:

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত মুক্তা বাউড়ি। —নিজস্ব চিত্র।

স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জন্য বার বার অশান্তি হয়েছে পরিবারে। তবু রাত হলেই স্বামী বাড়ি থেকে বার হয়ে যেতেন। তিনি কি ওই মহিলার সঙ্গে দেখা করতে যান। কৌতূহলবশত চুপিচুপি স্বামীর পিছু নিয়েছিলেন স্ত্রী। কিন্তু স্বামী বুঝতে পেরে রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে যান। স্ত্রীকে শাবল দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে মাঠে ফেলে তিনি চলে যান বলে অভিযোগ। পরে বৌমাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান শাশুড়ি। ঘটনাস্থল বীরভূমের খয়রাশোল। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেয়েকে দেখতে এসে জামাইয়ের শাস্তি দাবি করেছেন মা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, খয়রাশোল ব্লকের লোকপুর থানার পড়াতিয়া গ্রামের বাসিন্দা মুক্তা বাউড়ি এবং বিকাশ বাউড়ির বিয়ে হয়েছে কয়েক বছর। বেশ কিছু দিন ধরে দাম্পত্যকলহ চলছিল তাঁদের। মুক্তার বাপের বাড়ির অভিযোগ, জামাইয়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে অশান্তি শুরু হয়। বাধা দেওয়ার পরও স্থানীয় এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন বিকাশ। স্ত্রী বাধা দেওয়ায় আগেও তাঁকে মারধর করেছেন তিনি। এ নিয়ে থানা-পুলিশ পর্যন্ত হয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে বিকাশ যা করেছেন তা আর মাফ করা যায় না বলে জানাচ্ছেন মুক্তার দাদা। তাঁদের অভিযোগ, বোনকে শাবল দিয়ে পিটিয়ে খুনের চেষ্টার করেছিলেন জামাই। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে ফাকা মাঠে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান তিনি। ভেবেছিলেন, মুক্তা মারা গিয়েছেন। তাই ঝোপের মধ্যে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যান।

মুক্তার প্রতিবেশীরা বলছেন, বিকাশ দীর্ঘ দিন ধরে পরকীয়ায় লিপ্ত। গ্রাম থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরের এক মহিলার সঙ্গে তাঁকে প্রায়শই দেখা যায়। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রতি দিনই ঝগড়া হয়। মঙ্গলবার রাতে বিকাশ বাড়ি থেকে বেরোন। সন্দেহের বসে মুক্তা তাঁর পিছু নেন। হাঁটতে হাঁটতে বিকাশ বুঝতে পারেন কেউ তাঁর পিছু নিয়েছেন। ঘুরে স্ত্রীকে দেখে রাগের চোটে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন তিনি। এর পর একটি মাঠে ফেলে চলে যান বলে অভিযোগ।

Advertisement

সারা রাত রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন মুক্তা। সকালে স্থানীয়রা ঝোপের পাশে তাঁকে পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁরা খবর দেন মুক্তার শাশুড়িকে। এর পর সবাই মিলে ওই বধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। মাথা এবং শরীরের একাধিক অংশে মারাত্মক চোট পেয়েছেন মুক্তা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আপাতত তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল। এই ঘটনায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন শাশুড়ি। যদিও এই ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত পলাতক বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement