Coronavirus

বিধি মেনে দাহ হল পাইকরের যুবকের

 সৎকারের পরে শ্মশানযাত্রীরা গেলেন স্বেচ্ছা কোয়রান্টিনে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

মুরারই শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২০ ০৩:৪৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাইকরের এক ক্যানসার আক্রান্ত যুবকের মৃত্যু হয়েছিল ১লা এপ্রিল। শুক্রবার সেই যুবকের দেহ দাহ হল বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে।

Advertisement

মৃত্যুর পরে তাঁর দেহ গ্রামে ফিরিয়ে আনলেও বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হল না। গ্রামের বাইরে ফাঁকা জায়গায় দেহ রেখে ১০ ফুট তফাত থেকেই শেষ বিদায় জানালেন আত্মীয় পরিজনেরা।

সৎকারের পরে শ্মশানযাত্রীরা গেলেন স্বেচ্ছা কোয়রান্টিনে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাইকরের বিধান দাস (৩৬) ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পরে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসার জন্য মুম্বই গিয়েছিলেন। সেখানে চিকিৎসা চলছিল। এর মধ্যে দিন দশেকের জন্য বাড়ি ফেরার অনুমতি চান তিনি। গত ২০ মার্চ তাঁর ট্রেনের টিকিটও কাটা হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি জটিল হতে থাকায় যে ট্রেনে তাঁর ফেরার কথা ছিল সেই ট্রেন বাতিল হয়। হাসপাতালে শুয়ে বাড়ি ফিরতে না পারার জন্য গত ৩০ মার্চ সোশ্যাল নেটওয়ার্কে তিনি বিরক্তিও প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে মেয়েকে দেখার ইচ্ছের কথা জানান। কিন্তু তার একদিন পরেই মৃত্যু হয় বিধানের।

শুক্রবার রাত আটটা নাগাদ বিধানের কফিনবন্দি দেহ পৌঁছয় নিজের গ্রামের বাইরে। তাঁর ভাই মিনু দাস বলেন, ‘‘ভেবেছিলাম দাদার দেহ ফিরিয়ে নিয়ে যাব না। কিন্তু মেয়েকে দেখার শেষ ইচ্ছে ছিল। তাই নিয়ে আসা। প্রশাসনের কথা মতো আমি ও আরও দু’জন হাসপাতালে চিকিৎসা করে কোয়রান্টিন সেন্টারে ১৪ দিন থাকব। আর পরিবারের রঘুনাথগঞ্জ শ্মশানে থাকা শ্মশানযাত্রীরাও কোয়রান্টিন সেন্টারে থাকবেন। লকডাউনের ফলে দাদা আর বাড়ি ফিরতে পারল না এই আক্ষেপ সারা জীবন থাকবে।’’

মুরারই ২ বিডিও অমিতাভ বিশ্বাস বলেন, "অন্য রাজ্যের ও অন্য জেলার মানুজনকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জন্য। মৃতের পরিবার আবেদন করেছিলেন। নিয়ম মানার শর্তে ও মানবিকতার খাতিরে দেহ আনতে দিয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন