অফিসে বিদ্যুৎ, নেই ক্লাসে, স্কুলে বিক্ষোভ

স্কুলের অফিস ঘরে বিদ্যুৎ রয়েছে, অথচ ক্লাসঘরে বিদ্যুৎ নেই। পাখা থাকলেও তা চলছে না। গরমে নাজেহাল পড়ুয়ারা। অবিলম্বে প্রতিটি ক্লাসঘরে বিদ্যুতের দাবিতে প্রধান শিক্ষক এবং সহ-শিক্ষকদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল ছাত্রছাত্রীরা। বিক্ষোভে সামিল হন স্থানীয় বাসিন্দা এবং অভিভাবকদের একাংশও। বাঁকুড়ার ইঁদপুর ব্লকের গুন্নাথ হাইস্কুলে বৃহস্পতিবারের ঘটনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইঁদপুর শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৪ ০০:৪৪
Share:

স্কুলের অফিস ঘরে বিদ্যুৎ রয়েছে, অথচ ক্লাসঘরে বিদ্যুৎ নেই। পাখা থাকলেও তা চলছে না। গরমে নাজেহাল পড়ুয়ারা। অবিলম্বে প্রতিটি ক্লাসঘরে বিদ্যুতের দাবিতে প্রধান শিক্ষক এবং সহ-শিক্ষকদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল ছাত্রছাত্রীরা। বিক্ষোভে সামিল হন স্থানীয় বাসিন্দা এবং অভিভাবকদের একাংশও। বাঁকুড়ার ইঁদপুর ব্লকের গুন্নাথ হাইস্কুলে বৃহস্পতিবারের ঘটনা। প্রায় চারঘণ্টা ধরে চলে ঘেরাও-বিক্ষোভ। স্কুলে পঠনপাঠন ব্যাহত হয়। পরে ইঁদপুর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ অসীমকুমার পাঠকের হস্তক্ষেপে দুপুর দু’টো নাগাদ পরিস্থিতি শান্ত হয়। ঘেরাও মুক্ত হন শিক্ষকেরা।

Advertisement

স্কুল সূত্রের খবর, অত্যধিক বিদ্যুৎ খরচের জন্য মোটা টাকা বকেয়া পড়েছে বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের কাছে। সেজন্য লোকসভা ভোটের আগে স্কুলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল বণ্টন সংস্থা। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিদ্যুৎ সংযোগ জুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, বাড়তি বিলের বোঝা কমানোর জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ শুধু অফিস ঘরেই বিদ্যুৎ চালু রেখেছেন। এতেই ক্ষোভ ছড়িয়েছে পড়ুয়াদের মধ্যে। সেই কারণেই এ দিন স্কুল চালু হওয়ার পরে নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা প্রধান শিক্ষকের কাছে প্রতিটি ক্লাসঘরে বিদ্যুৎ চালু রাখার দাবি জানায়। পরে কিছু অভিভাবক এসে তাঁরাও প্রধান শিক্ষকের কাছে একই দাবি জানান। প্রধান শিক্ষক বিদ্যুৎ পাত্র সেই দাবি মানতে অস্বীকার করলে পড়ুয়ারা ক্লাস বয়কট করে অফিসঘরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে,। তাদের ক্ষোভ, “গরমে ক্লাসঘরগুলি তেতে রয়েছে। বিদ্যুৎ থাকা সত্ত্বেও পাখা না চলায় প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছে। প্রধান শিক্ষককে জানানোর পাশাপাশি মর্নিং স্কুল চালু রাখার দাবি করেছিলাম। তিনি তা-ও না মানায় বাধ্য হয়ে বিক্ষোভ দেখাই।” একই অভিযোগ এলাকার বাসিন্দা তথা অভিভাবকদের। তাঁরাও মর্নিং স্কুল ফের চালু রাখার দাবি জানান।

বিক্ষোভের খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশ যায় ওই স্কুলে। দুপুর দেড়টা নাগাদ স্কুলে যান এলাকার নির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ অসীমকুমার পাঠক। তিনি সকলকে বুঝিয়ে বিক্ষোভ তুলে দেন। এর পরেই ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক প্রতিনিধি, প্রধান শিক্ষককে সঙ্গে নিয়ে একটি বৈঠক করেন। অসীমবাবু বলেন, “এই মুহূর্তে স্কুলে ৪০ হাজার টাকারও বেশি বিদ্যুতের বিল বকেয়া। সে জন্যই প্রধান শিক্ষক বিদ্যুৎ খরচ কমানোর চেষ্টা করছিলেন। বিষয়টি সকলকে বোঝানো হয়েছে। কী ভাবে এই বাড়তি বিল মেটানো যায়, তা আমরা দেখছি।” প্রধান শিক্ষক বলেন, “প্রতি মাসে বিদ্যুতের খরচ বেড়েই চলেছে। স্কুলের তহবিল থেকে এত টাকা বিদ্যুৎ খরচের জন্য বরাদ্দ করা অসম্ভব। তাই বাধ্য হয়ে ক্লাসঘরে সাময়িক বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।” তিনি জানান, পড়ুয়া ও অভিভাবকদের দাবি মতো আজ, শুক্রবার থেকে ফের মর্নিং স্কুল চালু করা হচ্ছে। সমস্যা মিটে গিয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন