হিংলো

উপচে পড়া জলে ভাসল কজওয়ে

ফের ভেসে গেল হিংলো নদীর কজওয়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় খয়রাশোল ও লাগোয়া ঝাড়খণ্ডে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় উপচে উঠেছিল খয়রাশোলের হিংলো জলাধার। বাধ্য হয়েই বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ৮ হাজার কিউসেক জল ছাড়ে সেচ দফতর। যার পরিণামে ভেসে গেল রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে, খয়রাশোলের হিংলো নদীর কজওয়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৪ ০১:১৫
Share:

দূরে হিংলোর কজওয়েতে আটকে পড়েছে ট্রাক। বিপজ্জনক ভাবে রেল লাইন ধরেই যাতায়াত করছেন মানুষ। ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত

ফের ভেসে গেল হিংলো নদীর কজওয়ে।

Advertisement

গত ২৪ ঘণ্টায় খয়রাশোল ও লাগোয়া ঝাড়খণ্ডে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় উপচে উঠেছিল খয়রাশোলের হিংলো জলাধার। বাধ্য হয়েই বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ৮ হাজার কিউসেক জল ছাড়ে সেচ দফতর। যার পরিণামে ভেসে গেল রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে, খয়রাশোলের হিংলো নদীর কজওয়ে।

স্থানীয় সূত্রের খবর, রাস্তা ঠিকমতো ঠাওর করতে না পারলেও ঝুঁকি নিয়ে প্রথমে ওই কজওয়ে দিয়েই যানবাহন চলাচল করছিল। শেষমেশ কজওয়ের মাঝখানে দু’টি ভারি লরি ফেঁসে যায়। ওই ঘটনায় শুক্রবার দিনভর ওই জাতীয় সড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। বন্ধ থাকল আসানসোল-সিউড়ি, আসানসোল-রাজনগর ও খয়রাশোল রুটের বাস। কজওয়ের দু’দিকে আটকে পড়ল অসংখ্য গাড়ি। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে অনেকেই কজওয়ের কাছাকাছি থাকা পূর্ব রেলের অন্ডাল-সাঁইথিয়া শাখার হিংলো রেলসেতু দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছলেন।

Advertisement

এলাকার হিসেবে এমন কষ্ট অবশ্য নতুন কিছু নয়। প্রতি বর্ষায় ভারি বৃষ্টি হলে বা জলাধার থেকে জল ছাড়লে এ ভাবেই ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের মধ্যে থাকা খয়রাশোলের শাল ও হিংলো নদীর কজওয়ে ছাপিয়ে জল বইতে থাকে। সমস্যায় পড়েন বহু মানুষ। ২০০৬ সালে ওই রাস্তা জাতীয় সড়কের তকমা পায়। তার ছ’ বছর পরে রানিগঞ্জ থেকে দুবরাজপুর পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার ও চওড়া করার কাজ হয়। কিন্তু, শাল ও হিংলো নদীর সেতু দু’টির অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। এমনকী, রেলিংগুলিও ভেঙে গিয়েছে। সঙ্কীর্ণ ওই কজওয়ের দিয়েই যাতায়াত চলে। ঝুঁকি এড়াতে এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি, ওই দুই স্থানে নতুন সেতু তৈরি করা হোক। কিন্তু সেতু কবে হবে, তা আজও স্পষ্ট নয়। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, ওই সেতু তৈরির জন্য সমীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। প্রয়োজনীয় রিপোর্টও দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ওই খাতে আজও কোনও টাকা বরাদ্দ হয়নি।

আবাসনে দেহ। ব্লক অফিসের আবাসন থেকে পুলিশ এক কর্মীর দেহ উদ্ধার করল। মৃতের নাম অনিমেষ মাহাতো (৩০)। তাঁর বাড়ি পুরুলিয়া মফস্সল থানার হারামজাঙা গ্রামে। শুক্রবার মানবাজার ১ ব্লক অফিসের ওই আবাসন থেকে দেহ উদ্ধার করার পরে পুলিশ জানিয়েছে তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল না। তবে মৃত্যুর কারণ জানতে দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। মৃতের দাদা প্রণবেশ মাহাতো বাঁকুড়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর। তিনি বলেন, “কোনও অসুখ ছিল না। ভাই কী ভাবে মারা গেল বুঝতে পারছি না।” ওই আবাসনে আরও দুই সহকর্মীর সঙ্গে অনিমেষবাবু থাকতেন। তিনজনেই ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে চুক্তিভিত্তিক কর্মী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে অমিত মাহাতো বলেন, “ভোরে অনিমেষের গলা থেকে আওয়াজ বের হচ্ছিল। চিকিৎসা করার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement