ক্লাসঘর নেই, এসডিও-র কাছে পড়ুয়ারা

শ্রেণিকক্ষের অভাবে একটি বেঞ্চে দু’জনের জায়গায় পাঁচ জনকে বসে ক্লাস করতে হচ্ছে। কখনও, একটি ক্লাস ঘরে তিনটি পৃথক শ্রেণির পড়ুয়াদের বসতে হচ্ছে একসঙ্গে। বোলপুরের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের এমন বেহাল দশা কাটাতে দ্রুত ব্যাবস্থা নেওয়ার দাবিতে মহকুমা শাসকের সঙ্গে আলোচনায় বসল পড়ুয়া এবং তাঁদের অভিভাবকেরা। মহকুমা শাসক মলয় হালদার গুরুত্ব দিয়ে সমস্যাটি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০১৪ ০০:৩২
Share:

বোলপুরে মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। শুক্রবার তোলা নিজস্ব চিত্র।

শ্রেণিকক্ষের অভাবে একটি বেঞ্চে দু’জনের জায়গায় পাঁচ জনকে বসে ক্লাস করতে হচ্ছে। কখনও, একটি ক্লাস ঘরে তিনটি পৃথক শ্রেণির পড়ুয়াদের বসতে হচ্ছে একসঙ্গে। বোলপুরের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের এমন বেহাল দশা কাটাতে দ্রুত ব্যাবস্থা নেওয়ার দাবিতে মহকুমা শাসকের সঙ্গে আলোচনায় বসল পড়ুয়া এবং তাঁদের অভিভাবকেরা। মহকুমা শাসক মলয় হালদার গুরুত্ব দিয়ে সমস্যাটি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

Advertisement

অভিভাবক এবং পড়ুয়াদের দাবি, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ২৫০ ছাত্রছাত্রীকে বর্তমানে শ্রেণিকক্ষ না থাকার কারনে পঠন পাঠনে অসুবিধেয় পড়তে হচ্ছে। অভিভাবকেরা জানান, ২০১০ সালে শুরু হওয়া এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে মুলুকের ভারত সেবাশ্রম সংঘের জায়গায় পঠনপাঠন চালু করে। সম্প্রতি ওই প্রতিষ্ঠান বিদ্যালয় কে দেওয়া জায়গা ফিরিয়ে নেন। বোলপুরের মহকুমা শাসক এবং শ্রীনিকেতন শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে তখন কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় আপাতত প্রান্তিক এলাকায় থাকা এস এস ডি এর জায়গায় শুরু হয়। পড়ুয়াদের অভিযোগ, “একটি বড় হল ঘরে কোনও দিন তিনটি এবং কোন দিন চারটি করে আলাদা শ্রেণির পঠন পাঠন এক সময়ে হয়। তাতে খুবই সমস্যার মধ্যে পড়েন ওই পড়ুয়ারা। ছাত্রছাত্রীদের জন্য টয়লেটও নেই।”

এ দিন বহুবার চেষ্টা করেও, বোলপুরের মহকুমা শাসক তথা পদাধিকার বলে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান মলয় হালদার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। শ্রীনিকেতন শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদের নির্বাহী আধিকারিক পুলক সরকার বলেন, “বোর্ড যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেই অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।” রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী তথা শ্রীনিকেতন শান্তিনিকেতন উন্নয়ন পর্ষদের সভাপতি চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, “ক্লাসরুমের সমস্যার কথা শুনেছি, আপাতত অস্থায়ী ভাবে ব্যাবস্থা করা হয়েছে। তবে পড়ুয়াদের যাতে পঠন পাঠনে বিঘ্ন না হয় তার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় সংশ্লিষ্ট সব স্তরে আলোচনা চালাচ্ছি।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement