পদ না ফেরালে দল ছাড়ার হুমকি

ব্লক সভাপতির পদ ফিরিয়ে না দিলে দল ছাড়বেন বলে প্রকাশ্যে হুমকি দিলেন সদ্য রঘুনাথপুর ১ ব্লক সভাপতির পদ থেকে অপসারিত প্রদীপ মাজি। রবিবার রঘুনাথপুর শহরে পঞ্চায়েত সমিতির কমিউনিটি হলে তিনি নিজের অনুগামী পঞ্চায়েত সমিতি ও পঞ্চায়েতে কিছু সদস্য ও অঞ্চল সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রঘুনাথপুর শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:০৩
Share:

ব্লক সভাপতির পদ ফিরিয়ে না দিলে দল ছাড়বেন বলে প্রকাশ্যে হুমকি দিলেন সদ্য রঘুনাথপুর ১ ব্লক সভাপতির পদ থেকে অপসারিত প্রদীপ মাজি। রবিবার রঘুনাথপুর শহরে পঞ্চায়েত সমিতির কমিউনিটি হলে তিনি নিজের অনুগামী পঞ্চায়েত সমিতি ও পঞ্চায়েতে কিছু সদস্য ও অঞ্চল সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানেই দলের জেলা নেতৃত্বের উদ্দেশে তাঁর হুঁশিয়ারি, “সাত দিনের মধ্যে আমার কেড়ে নেওয়া পদ ফিরিয়ে দিতে হবে। আমরা কে কোথায় কোন দলে থাকব তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়ে গিয়েছে।’’

Advertisement

তাঁর আগে বক্তৃতায় প্রদীপবাবুর ছায়াসঙ্গী পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ রাজেশ মণ্ডল অভিযোগ করেন, “জেলার নেতারাই উপর থেকে সবকিছু চাপিয়ে দেন। দলের মধ্যে কোনও নিয়ম নীতি নেই বলেই বিভিন্ন নির্বাচনে জেতার পরেও আমরা ১০ শতাংশ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারিনি। এই ভাবে চললে আগামী দিনে আমরা এই দলে থাকব কি না তা নিয়ে ভাবছি।” যদিও দলের জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, “কে কোন দল করবে তা একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে ওই ব্লকে দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার প্রশ্নেই আমরা ব্লক সভাপতি বদল করেছি।”

রঘুনাথপুর ১ ব্লকে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন পঞ্চায়েতে দলীয় কোন্দলের জেরে পরপর অনাস্থা এসেছিল। তার উপরে দলের স্থানীয় নেতৃত্বের একাংশও ব্লক সভাপতি প্রদীপ মাজির আচার-আচরণে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছিলেন। অনাস্থার জেরে বারবার প্রকাশ্যে আসছিল দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টিও। স্থানীয় নেতা-কর্মীদের প্রশ্ন ছিল, কেন জেলা নেতৃত্ব এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ করছেন না।

Advertisement

শেষে শৃঙ্খলা রক্ষার প্রশ্নে সম্প্রতি শান্তিরামবাবু ব্লক সভাপতির পদ থেকে প্রদীপবাবুকে সরিয়ে দেন। ব্লকের দায়িত্ব দেওয়া হয় রঘুনাথপুরের বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরিকে। দায়িত্ব পাওয়ার পরেই বিধায়ক প্রদীপবাবুর পক্ষে থাকা সমিতির কিছু সদস্যকে টেনে অনাস্থায় অপসারিত হওয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি ও এক কর্মাধ্যক্ষকে ভোটাভুটিতে জিতিয়ে ফের স্বপদে বসিয়েছেন। বস্তুত তার পরেই কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে প্রদীপবাবুর অনুগামীরা। তারই ফলশ্রুতিতে রবিবার এই সভা করে নিজেদের ক্ষমতা যাচাই করে নিতে চেয়েছিলেন ওই নেতারা। এ দিনের সভায় ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির পাঁচ সদস্যও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন