Local News

২০১৯: তৃণমূলের পাল্টা ব্রিগেড ডাকল বিজেপি, বক্তা মোদী

এদিনের সভায় মমতা বলেছেন, ‘‘২০২০ সালের ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবস হবে ভারত জয়ের সভা।’’তার জবাবে রাহুল বলেন, ‘‘এটাই তৃণমূলের শেষ শহিদ দিবস। এরপর আর শহিদ দিবস করার মতো ক্ষমতাই থাকবে না তৃণমূলের। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূলের অস্তিত্বই থাকবে না।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৮ ১৭:১৮
Share:

সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল সিংহ। —ফাইল চিত্র

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে নতুন কিছু নেই। গতানুগতিক। গোটা বক্তৃতা জুড়ে শুধুই ‘বিজেপি আতঙ্ক’। ২১ জুলাইয়ে তৃণমূল নেত্রীর ভাষণের জবাব এভাবেই দিল বিজেপি। পাশাপাশি, পরের বছরের গোড়ায় তৃণমূলের ব্রিগেডের পাল্টা ব্রিগেড সভার ডাক দিল বিজেপি। সেখানে উপস্থিত থাকবেন প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মেদী।

Advertisement

শনিবার তৃণমূলের শহিদ স্মরণে সমাবেশের পরেই সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি নেতা রাহুল সিংহ বলেন, ‘‘২১ জুলাইয়ের সভা দেখে মনে হল, রাজ্যে বিজেপি ছাড়া আর কোনও দলই নেই।’’ এদিনের সভা থেকেই তৃণমূল নেত্রী ঘোষণা করেন আগামী বছরের ১৯ এপ্রিল ব্রিগেডে সভা করবেন। তার পাল্টা হিসেবে রাহুল বলেন, রাজ্য জুড়ে রথযাত্রার কর্মসূচির পরিকল্পনা করছে বিজেপি। সেই কর্মসূচি শেষ হবে ২৩ জানুয়ারি তৃণমূলের পাল্টা ব্রিগেড সভা করে। সেই সভায় থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এদিনের সভায় মমতা বলেছেন, ‘‘২০২০ সালের ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবস হবে ভারত জয়ের সভা।’’তার জবাবে রাহুল বলেন, ‘‘এটাই তৃণমূলের শেষ শহিদ দিবস। এরপর আর শহিদ দিবস করার মতো ক্ষমতাই থাকবে না তৃণমূলের। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূলের অস্তিত্বই থাকবে না।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: প্যান্ডেল বাঁধতে পারে না, দেশ গড়বে? বিজেপিকে খোঁচা মমতার

মমতার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এদিন বিজেপির জাতীয় সম্পাদকের পাল্টা তোপ, ‘‘উনি বলছেন কংগ্রেস-সিপিএম দিল্লিতে তাঁদের সাহায্য করে, আর রাজ্যে বিরোধিতা করে। আসলে উনি কংগ্রেস-সিপিএমকে কাছে টানতে চেয়েছেন। বলতে চেয়েছেন, রাজ্যেও তাঁদের সঙ্গে থাকুক কংগ্রেস-সিপিএম। তৃণমূলের এখন নিজস্ব কোনও ইস্যু নেই, রাজ্যের জন্য নতুন কোনও কর্মসূচি নেই। শুধু বিজেপিকে আক্রমণ করে গিয়েছেন। তাই এখন দিল্লির ললিপপ দেখয়ে কর্মীদের চাঙ্গা করার চেষ্টা করেছেন তৃণমূল নেত্রী।’’

আরও পড়ুন: ‘কেউ মনে রাখেনি, ২১ জুলাইয়ে কোনও বার ডাকও পাইনি’

রাহুলের মতে,বাংলার মানুষ সিপিএমকে ছুড়ে ফেলেছিল। আর এখন তারা বুঝতে পারছে, সিপিএমের থেকেও ভয়ঙ্কর তৃণমূল। মাওবাদী। সন্ত্রাসবাদী। তাই তৃণমূলকেও গদিচ্যূত করবে তারা। তাঁর কথায়, ‘‘সিপিএম তবু সাংগঠনিক দল। ওদেরই চালচুলো উঠে গিয়েছে। তৃণমূল সেখানে ব্যক্তি নির্ভর দল। ওদের তো খুঁজেও পাওয়া যাবে না।’’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরো বক্তব্যে মিথ্যাচার করেছেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। তাঁর কথায়, ‘‘রাজ্যে একের পর এক শিল্প, কল-কারখানা বন্ধ হচ্ছে। অথচ উনি বলছেন, ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমেছে। পঞ্চায়েত ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের প্রসঙ্গে টেনে এনেছেন উত্তরাখণ্ড, মিজোরামের প্রসঙ্গ। উনি কোথায় যে এসব পরিসংখ্যান পান, তা উনিই জানেন। আসলে উনি ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, আলিপুরদুয়ারের ভূত দেখছেন। তাই এই সব বলতে শুরু করেছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন