সরকারি হোমে রোহিঙ্গা শিশু ও মায়েদের উদ্বাস্তু কার্ড দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং রাজ্য সরকারের অনুষ্ঠান আপাতত বাতিল হয়ে গেল।
রাজ্যের নারী শিশু ও সমাজ কল্যাণ দফতরের পক্ষ থেকে ‘বিশেষ কারণে’ ওই অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে বলে বুধবার জানানো হয়েছে। দফতর সূত্রে খবর, মুখ্যসচিবের নির্দেশেই অনুষ্ঠানটি বাতিল হয়েছে।
কয়েক বছর ধরে বিস্তর টানাপড়েনের পর অগস্ট মাসে ইউনাইটেড নেশনস হাইকমিশনার ফর রিফিউজিস (ইউএনএইচসিআর) রাজ্যের তিনটে জেলার মোট ছ’টি হোম থেকে ২৩ জনকে ‘উদ্বাস্তু’ তকমা দিয়েছে। আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদের তরফে রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজ কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী, আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে এ দিন লিলুয়া হোমের রোহিঙ্গা শিশুদের হাতে কার্ডগুলি তুলে দেওয়া হবে বলে ঠিক ছিল।
কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু জানিয়ে দেন, ভারতে বসবাসকারী সব রোহিঙ্গা মুসলিমকে (বর্তমানে সংখ্যাটি ৪০ হাজার) ফেরত পাঠানো হবে। ‘উদ্বাস্তু’ তকমাপ্রাপ্ত ১৬,৫০০ রোহিঙ্গাও ভারতে বসবাস করতে পারবেন না। ইউএনএইচসিআর স্বীকৃতি দিলেও ভারত রাষ্ট্রপুঞ্জের উদ্বাস্তু সংক্রান্ত চুক্তিতে সই করেনি। তাই তাদের দেওয়া স্বীকৃতি মানতে ভারত বাধ্য নয়। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এ বিষয়ে সব ক’টি রাজ্য সরকারকে রোহিঙ্গা মুসলিমদের চিহ্নিত করে তাড়াতাড়ি ফেরত পাঠানোর কথাও বলেন। মনে করা হচ্ছে, কেন্দ্রের এই নির্দেশের কারণেই রাজ্য এ দিন কার্ড দেওয়া থেকে পিছিয়ে এল।
রাজ্য প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘অনুষ্ঠানের কথা জানার পরে মুখ্যসচিব মলয় দে কেন্দ্রের নির্দেশিকার কথা স্মরণ করিয়ে দেন। সে কারণেই অনির্দিষ্ট কালের জন্য ওই অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।’’