Covid

কোভিড হাসপাতালের দিকে আঙুল ফেসবুকে

রবিবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার তালড্যাংরার এক যুবক ফেসবুক পেজে দাবি করেন, নিমোনিয়ায় আক্রান্ত তাঁর দাদুকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে ভর্তি করানোর পরে, করোনা ধরা পড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২০ ০৩:৩৬
Share:

ফাইল চিত্র।

কলকাতার অন্যতম কোভিড-হাসপাতাল এমআর বাঙুরের এক ভিডিয়ো নিয়ে রাজ্যে শোরগোল হয়েছিল। এ বার বাঁকুড়ার একমাত্র কোভিড-হাসপাতাল—ওন্দা সুপার স্পেশালিটিতে জরুরি বিভাগের পরিষেবা নিয়ে এক রোগীর আত্মীয়ের ‘ফেসবুক লাইভ’ (ভিডিয়োর সত্যতা আনন্দবাজার যাচাই করেনি) ঘিরে হইচই হচ্ছে। যদিও যে অভিযোগগুলি তোলা হয়েছে, সেগুলি মানেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বাঁকুড়া স্বাস্থ্য-জেলার কর্তারা আইনানুগ পদক্ষেপ করার কথা ভাবছেন বলে জানান।

Advertisement

রবিবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার তালড্যাংরার এক যুবক ফেসবুক পেজে দাবি করেন, নিমোনিয়ায় আক্রান্ত তাঁর দাদুকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে ভর্তি করানোর পরে, করোনা ধরা পড়ে। সে দিনই তাঁকে ওন্দা সুপার স্পেশালিটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই যুবকের অভিযোগ, ওই বৃদ্ধকে ওন্দা সুপার স্পেশালিটিতে নিয়ে যাওয়া হলে প্রায় এক ঘণ্টা কোনও ডাক্তার দেখেননি। তিনি হাসপাতাল সুপারকে ফোন করেন। তাতে লাভ হয়নি। শেষে জরুরি বিভাগের সামনে বৃদ্ধের মৃত্যু হয়।

প্রায় ৩২ মিনিটের ওই ভিডিয়ো হোয়াটসঅ্যাপেও ছড়িয়ে পড়ে। ওন্দা সুপার স্পেশালিটির সুপার মনিরুল ইসলামের অবশ্য দাবি, “ভিডিয়োতে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। সিসিটিভির ফুটেজ় দেখে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ২ মিনিটে বৃদ্ধকে হাসপাতালে আনা হয়। ৭টা ১০ মিনিটে ডাক্তারেরা আত্মীয়দের জানিয়েছেন, পথে বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। আমাকে ফোন করার দাবিও মিথ্যা।’’

Advertisement

বাঁকুড়া স্বাস্থ্য-জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সরেন দাবি করেন, ‘‘মিথ্যা ভিডিয়ো তৈরি করে মানুষকে ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে। সাইবার সেলের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” জেলার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও জানান, স্বাস্থ্য দফতর সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করলে, পদক্ষেপ করা হবে।

ঘটনাচক্রে, তালড্যাংরার ওই যুবকও করোনা আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার ওন্দা সুপার স্পেশালিটিতে ভর্তি হয়েছেন। বুধবার ফোনে তিনি দাবি করেন, ‘‘ফেসবুক লাইভে মিথ্যা বলিনি। আমার উদ্দেশ্য, পরিকাঠামোগত সমস্যা তুলে ধরা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন