পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে কি এ বার বিজেপি-র প্রার্থী হতে চলেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত?
দিল্লিতে বুধবার দলের প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত করার জন্য বিজেপি-র কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক শুরুর আগেই ঋতুপর্ণার নামটি নিয়ে জোর গুঞ্জন, ফিসফাস শুরু হয়ে যায়। বিজেপি-রই একটি সূত্রে রটে যায়, ঋতুপর্ণার এ বার টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই জোরালো। পরে অবশ্য এ ব্যাপারে ঋতুপর্ণার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি গোটা বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘এ সব কথা একেবারেই অর্থহীন। আগেও আমার নামে এ সব রটেছিল। কিন্তু, সে বারও দেখা গিয়েছিল ও সব ভিত্তিহীন। এ বারও যা রটেছে, তা একেবারেই ভিত্তিহীন।’’
যদিও ‘তারা’দের সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গে ভোটের বাজারে সাড়া ফেলতে চাইছে বিজেপি!
আর সে ক্ষেত্রে এ বার বিজেপি-র প্রধান ভরসা হয়ে উঠেছে নেতাজির পরিবারই।
আরও পড়ুন- কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার নিয়ে রাজ্যকে কড়া বার্তা কমিশনের
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভবানীপুর কেন্দ্রে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পরিবারের সদস্য চন্দ্র বসুকে প্রার্থী করছে বিজেপি।
দলীয় সূত্রের খবর, সরাসরি না বলা হলেও, চন্দ্রবাবুকেই বিজেপি-র তরফে ‘মুখ্যমন্ত্রী পদ-প্রার্থী’ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। ওই নাম ঘোষণার আগে দলের সভাপতি অমিত শাহ ও পশ্চিমবঙ্গে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের মধ্যে এক দফা বৈঠকও হয়। চন্দ্রবাবু ছাড়াও এ বার পশ্চিমবঙ্গে বেশ কিছু তারকাকে প্রার্থী করছে বিজেপি। অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকেও প্রার্থী করার তোড়জোড় চলছে। এ ছাড়াও গত ভোটে যে তারকা প্রার্থীরা বিজেপি-র টিকিট পেয়েছিলেন, সেই রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায় ও জয় বন্দ্যোপাধ্যায় এ বারও প্রার্থী হচ্ছেন। দলের পয়লা দফার প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করা হবে বুধবার রাতেই।
পশ্চিমবঙ্গ সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে দলের প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত করতে বুধবার সন্ধ্যায় শুরু হয় বিজেপি-র কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক। সেই বৈঠক শুরুর দেড় ঘণ্টা আগেই এ দিন নজীরবিহীন ভাবে দিল্লিতে চন্দ্রবাবুর নাম ঘোষণা করে দেওয়া হয়। আর সেই নামটি ঘোষণা করানো হয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে দিয়ে। বিজেপি সূত্রের খবর, বাংলায় কথা বলতে পারদর্শী বলেই চন্দ্রবাবুর নামটি ঘোষণা করানো হয়েছে স্মৃতিকে দিয়ে।