কারখানার ভিতর ছড়িয়ে থাকা ভাগাড়ের মাংস।—নিজস্ব চিত্র।
মাগুর মাছের খাবার নয়, ভাগাড়ের পচা মাংস পাচার হত হোটেল-রেস্তরাঁতেই। গ্রামবাসীরা তাঁদের দাবিতে অনড় হলেও, এখনও তেমন প্রমাণ হাতে আসেনি বলে দাবি করল জেলা পুলিশ।
ইতিমধ্যে একজনকে আটক করেছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ। কিন্তু প্রধান অভিযুক্তরা অধরা থাকায়, এ বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য হাতে আসেনি। টিটাগড়ের বাসিন্দা ইকবাল আনসারি ধরা পড়লে তবে প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিশকে বারবার বলা হয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই সোমবার রাতে ভাঙচুর চালানো হয় মাংস ভর্তি গাড়িতে।
আরও পড়ুন: ফিরল ভাগাড় আতঙ্ক, ফের রাতের অন্ধকারে হোটেল, রেস্তরাঁয় পৌঁছে যাচ্ছে মরা পশুর মাংস
আরও পড়ুন: ভুল চিকিৎসায় দৃষ্টিহীন জন্ম প্রতিবন্ধী, অনটনে জেরবার, স্বেচ্ছামৃত্যু চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি
জনরোষ থেকে বাঁচতে অভিযুক্তরা সেখান থেকে গা ঢাকা দেয়। উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পুলিশ সুপার (কো-অর্ডিনেশন) পি সুধাকর সাংবাদিকদের বলেন, “স্থানীয় মানুষ অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত চলছে।”
পুলিশের এই ভূমিকা মোটেও ভাল ভাবে নিচ্ছেন না দেগঙ্গার ক্ষুদ্রমণ্ডলগাঁতি এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, এই ঘটনা সামনে আসার পরই পুলিশ গ্রামবাসীদেরই হুমকি দিচ্ছে। বাজেয়াপ্ত হওয়া মাংসের বেশিরভাগই মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছে।
বেশ কয়েক মাস আগে ওই এলাকায় দরমার বেড়া দিয়ে জায়গাটি ঘিরে রাখে টিটাগড়ের বাসিন্দা ইকবাল আনসারি। মাগুর মাছের খাবার তৈরির জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে লাইসেন্সও নিয়েছিল ইকবাল। পরে ধীরে ধীরে এলাকাটি পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। রাতের বেলায় গাড়ি করে ভাগাড় থেকে পচা মাংস ঢুকত সেখানে। পরে সেই মাংস প্যাকেটজাত হয়ে পৌঁছে দেওয়া হত হোটেলে।যদিও এখনও পর্যন্ত তার প্রমাণ নেই বলেই দাবি করছেন পুলিশ আধিকারিকেরা।কিন্তু এ বিষয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে সিআইডি। বজবজ, বাগুইআটিতে ভাগাড়-কাণ্ড সামনে আসার পর, জেলা পুলিশের থেকে তদন্ত ভার নেয় সিআইডি।