বাঙালি আবেগে চোখ স্বপনদের

অনুষ্ঠানের কোথাও বিজেপি-আরএসএস-এর নাম বা ব্যানার ব্যবহার করা হয়নি। কিন্তু মঞ্চে আসীন বক্তাদের অনেকেই বিজেপি বা আরএসএস-র সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। যেমন— স্বপন দাশগুপ্ত রাজ্যসভায় বিজেপি-র সাংসদ, রন্তিদেব সেনগুপ্ত আরএসএস-এর পরিচিত মুখ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:২১
Share:

বাঙালি অস্মিতা এবং জাতীয়তাবাদকে ব্যবহার করে বাংলার জনমানসে জায়গা আরও পোক্ত করতে তৎপর হয়েছে গেরুয়া শিবির। বাঙালির হৃত গৌরব পুনরুদ্ধারে এবং জাতীয়তাবাদী চেতনার প্রসার ঘটাতে রবিবার কলকাতার আইসিসিআর-এ ‘বাংলার নবজাগরণ’ শীর্ষক একটি আলোচনাসভা হয়। যার উদ্যোক্তা ছিল ‘নব বঙ্গ’ নামে একটি সংগঠন। অনুষ্ঠানের কোথাও বিজেপি-আরএসএস-এর নাম বা ব্যানার ব্যবহার করা হয়নি। কিন্তু মঞ্চে আসীন বক্তাদের অনেকেই বিজেপি বা আরএসএস-র সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। যেমন— স্বপন দাশগুপ্ত রাজ্যসভায় বিজেপি-র সাংসদ, রন্তিদেব সেনগুপ্ত আরএসএস-এর পরিচিত মুখ।

Advertisement

ওই অনুষ্ঠানে স্বপনবাবু বলেন, বাঙালি সমাজ এখন ক্রমপতনশীল এবং হিংসায় জর্জরিত। বাণিজ্য, মেধা, সংস্কৃতি— সব বিষয়েই বাঙালির এক দিন গৌরব ছিল। কিন্তু সেই অতীত গৌরবের স্মৃতি দিয়ে বর্তমান অধঃপতনকে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। এর জন্য চাই, প্রকৃত প্রশ্নের উত্তর সন্ধান। অর্থাৎ, কেন বাঙালি ব্যবসা-বিমুখ, কেন তারা পশ্চিমবঙ্গের জন্মের ইতিহাস চর্চা করে না, কেন স্বামী বিবেকানন্দের উদ্ধৃতির বাছাই করা অংশ কেটে দিয়ে বাকিটা পড়ে ইত্যাদি প্রশ্ন নিয়ে বঙ্গসমাজের সর্বত্র আলোচনা প্রয়োজন। এই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে স্বপনবাবুর কটাক্ষ, ‘‘এ সব প্রশ্ন তুললেই হয়তো বলা হবে, কেন এই তো কত বড় বাণিজ্য সম্মেলন হয়ে গেল। ক্রিসমাসে পার্ক স্ট্রিটে কত আলো জ্বলেছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement