মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।— ফাইল চিত্র।
শিল্প আনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফরে কত খরচ হয়েছে এবং কত টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে, সেই প্রশ্নের উত্তর জানতে এ বার তথ্যের অধিকার আইনের (আরটিআই) সাহায্য নিলেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। বাম নেতাদের অভিযোগ, বিধানসভায় প্রশ্ন করলে উত্তর দেওয়া হয় না। সরকারি আধিকারিকেরা তথ্য জানাতে ‘ভয়’ পান। এই পরিস্থিতিতে আরটিআই করে তাঁরা জনস্বার্থ সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য চাইছেন। নিয়মমাফিক ৩০ দিনের মধ্যে জবাব না পেলে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে বাকি পদক্ষেপও তাঁরা করবেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বছরে এক বার তিনি বিদেশ যান। সুজনবাবু বৃহস্পতিবার বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ যাওয়ায় আপত্তির কিছু নেই। কিন্তু ৭ বছরে সরকারি কোষাগারের কত টাকা খরচ করে কত টাকার বিনিয়োগ এল, তা জানার অধিকার সকলের আছে। সরকার সাধারণ পথে সেই তথ্য জানাতে নারাজ। সুজনবাবুর কথায়, ‘‘সংবাদমাধ্যমে দেখা গিয়েছে, এ বার মুখ্যমন্ত্রীর জার্মানি ও ইটালিতে কর্মসূচি ছিল আড়াই দিনের। কিন্তু সফর ছিল ১২ দিনের। কারা সঙ্গে গেলেন, কত খরচ হল, কত বিনিয়োগ এল— আরটিআই করে সে সব জানতে চেয়েছি।’’ এর আগে অন্য বিষয়ে দু-এক জন বাম বিধায়ক আরটিআই করেও জবাব পাননি। আবার সুজনবাবু মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠির পরে চিঠি লিখে উত্তর পাননি। তাই এ বার বাম পরিষদীয় নেতার আরটিআই।
রাজ্যে একের পর এক সেতু ভাঙা, বিস্ফোরণ, আগুনের প্রসঙ্গ এনে সুজনবাবুর মন্তব্য, ‘‘মনে হচ্ছে, ভূতের রাজত্ব চলছে! প্রশাসন বলে কিছু নেই।’’ মা উড়ালপুল-সহ কিছু সেতুর উপরে ভারী ভারী ফুলের টব বসানোর আগে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছিল কি না, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এখন সে সব সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বাম নেতার প্রশ্ন, কার নির্দেশে টব সাজানোর নামে কাদের টাকা ‘পাইয়ে’ দেওয়া হল?