অধীন সংস্থার কর্মীদের বেতনে বৈষম্য রইলই

সূত্রের খবর, চতুর্থ বেতন কমিশনের রিপোর্টের পরেই সরকারি কর্মীদের সঙ্গে অধীন সংস্থার কর্মীদের বেতনের কিছুটা ফারাক ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:৪২
Share:

—ফাইল চিত্র।

সংস্থার সংখ্যা ৯২। ২০১৭’র মার্চে সব মিলিয়ে বিনিয়োগ হয়েছে ৪০ হাজার ৬১১ কোটি টাকা। কর্মীর সংখ্যা ৪৭ হাজারের বেশি। ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ পেলেও সরকারি অধীন সংস্থার কর্মীদের বেতন বৈষম্য দূর হল না। যদিও অভিরূপ সরকারের নেতৃত্বাধীন কমিশন অধীন সংস্থার কর্মীদেরও সরকারি কর্মীদের সমহারে বেতন বাড়াতে সুপারিশ করেছে।

Advertisement

সূত্রের খবর, চতুর্থ বেতন কমিশনের রিপোর্টের পরেই সরকারি কর্মীদের সঙ্গে অধীন সংস্থার কর্মীদের বেতনের কিছুটা ফারাক ছিল। সরকার সমহারে বেতনের বদলে অধীন সংস্থার কর্মীদের কিছু সুবিধা ও বেতন বাড়ানোর পার্থক্য রেখেছিল। সেই থেকেই সরকারি কর্মী ও অধীন সংস্থার কর্মীদের বেতনক্রম আলাদা হয়ে যায়। ২০০৯ সালে পঞ্চম বেতন কমিশনেও সেই বৈষম্য দূর হয়নি। কারণ, বিভিন্ন নিগম, পর্ষদ, সংস্থার কর্মীরা পঞ্চম বেতন কমিশনের কাছে সমহারে বেতনের দাবি জানিয়েছিলেন। বৈষম্য দূর করতে বলেছিলেন। কিন্তু পঞ্চম বেতন কমিশন তাদের দ্বিতীয় রিপোর্টে জানিয়েছিল, কমিশনের সরকার নির্দিষ্ট কার্যবিধিতে বৈষম্য দূর করার বিষয়টি বলা নেই। ফলে তারা সব কিছু বুঝতে পেরেও কিছু করতে পারছে না।

এ বারও সেই পরিস্থিতি রয়ে গেল বলে নবান্ন সূত্রের খবর। ষষ্ঠ বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান অভিরূপ সরকার বলেন, ‘‘পর পর দু’টি বেতন কমিশনে যা রয়ে গিয়েছে, তা পরিবর্তন করা সম্ভব হয়নি। আমাদের বিচার্য ছিল বেতন বাড়ানোর বিষয়টি দেখা। সেই হিসাবে আমরা অধীন সংস্থার কর্মীদেরও ২.৫৭ গুণ বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করেছি। কিন্তু পুরনো ফারাকটা রয়েই যাচ্ছে।’’

Advertisement

ষষ্ঠ বেতন কমিশন তাদের দ্বিতীয় দফার রিপোর্ট পেশ করবে। তাতেই বিভিন্ন সংস্থার একই পদে কর্মরত কর্মীদের এক এক রকম বেতন দেওয়া হচ্ছে। বহু ক্ষেত্রে অর্থ দফতরের অনুমোদন ছাড়াই সংস্থাগুলি নিজেদের মতো করে বেতন বাড়িয়েছে। ষষ্ঠ বেতন কমিশন তাদের দ্বিতীয় রিপোর্টে এ নিয়ে নির্দিষ্ট সুপারিশ করতে পারে। সেখানে সব ক’টি অধীন সংস্থার সম মর্যাদার পদে একই বেতন রাখার সুপারিশ করা হতে পারে।

সুপারিশ মেনে রোপা প্রকাশ করেছে সরকার। তাতে কর্মীদের ২০১৬-র ১ জানুয়ারি থেকে বর্ধিত বেতন কার্যকর করে ইনক্রিমেন্ট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। রোপার বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কর্মীরা তিনটি নয়, চারটি ইনক্রিমেন্ট পাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। ২০১৬, ১৭, ১৮ এবং ১৯-এর জুলাইয়ে চারটি ইনক্রিমেন্ট পাওনা হচ্ছে সরকারি কর্মীদের। যদিও বেতন কমিশন ঘোষণার সময় সরকার তিনটি ইনক্রিমেন্টের কথা জানিয়েছিল। রোপা-য় ২০১৬-র ১ জানুয়ারি থেকে বেতন কমিশন চালু করার কথা বলা থাকায়, কর্মীরা আরও একটি ইনক্রিমেন্ট পাবেন বলেই অর্থ-কর্তারা জানাচ্ছেন।

এ দিনই চুক্তিতে নিযুক্ত বাসের চালক ও কন্ডাক্টর এবং লঞ্চঘাটে সহায়ক হিসেবে কর্মরত ‘জলসাথীদের’ বেতন দু’হাজার টাকা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন