Mamata Banerjee

Mamata Banerjee: সাইকেলে চড়ে কালীঘাটে মালদহের ‘কন্যাশ্রী’, ছোট্ট সায়ন্তিকাকে ‘মমতা’র পরশ মুখ্যমন্ত্রীর

বৃহস্পতিবার সকালে কালীঘাটের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী-সায়ন্তিকা সাক্ষাৎ। একদিকে আমসত্ত্ব আচার, অন্য তরফে বই, মিষ্টি, চকোলেট বিনিময়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২২ ১৫:১৮
Share:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কালীঘাটের বাসভবনে ছোট্ট সায়ন্তিকা দাস। নিজস্ব চিত্র

ইচ্ছে ছিল মালদহ থেকে সাইকেল চালিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি আসার। কিন্তু নিরাপত্তা এবং মুখ্যমন্ত্রীর সময়ের কারণে সাইকেলে চড়ে কলকাতায় আসা হল না ছোট্ট সায়ন্তিকার। মালদহ থেকে ট্রেনে কলকাতায় এসে, শিয়ালদহ স্টেশন থেকে সাইকেলে চড়ে কালীঘাট পৌঁছাল সায়ন্তিকা। মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের হাতে আমসত্ত্ব ও আচার তুলে দিল সে। পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও উপহার তুলে দিলেন তাঁর হাতে। মালদহের ইংরেজবাজার থেকে ব্যাগে আচার, আমসত্ত্ব নিয়ে সাইকেলে যাত্রা শুরু করেছিল দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী সায়ন্তিকা দাস। কিন্তু রাজ্য প্রশাসনের তরফে বুধবার রাতেই তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সায়ন্তিকাকে ট্রেনে কলকাতায় আনার ব্যবস্থা করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে পৌঁছায় সে। ছোট্ট অনুরাগীর সঙ্গে কথা বলে তাঁর হাতে মুখ্যমন্ত্রীও বই, মিষ্টি, চকোলেট তুলে দিয়েছেন। একটি বিশ্ববাংলার ব্যাগও সায়ন্তিকাকে উপহার দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়ির উঠানে সায়ন্তিকার সাইকেল পৌঁছতেই ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। গাল টিপে সায়ন্তিকাকে আদর করেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

মালদহ থেকে সাইকেলে কলকাতা পাড়ি দিচ্ছে আট বছরের খুদে। এমন খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই মুখ্যমন্ত্রীর দফতর তৎপর হয়। সাক্ষাতের পর সায়ন্তিকা জানিয়েছেন, দিদির সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে পূরণ হয়েছে তাঁর। মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের পরিবারের তরফে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে সে। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কারণেই তাঁর দুই দিদি পড়াশোনা করতে পেরেছেন কন্যাশ্রী প্রকল্পের দৌলতে। এক দিদির বিয়ের খরচও দিয়েছে রাজ্য সরকার। তাও সম্ভব হয়েছে রূপশ্রী প্রকল্প মারফত। সঙ্গে তাঁর পরিবার আর্থিক ভাবে সচ্ছল হয়েছে মমতার জনকল্যাণমুখী প্রকল্পের কারণেই। আর এই জন্যই মালদহ থেকে কলকাতা গোটা সফরটাই সাইকেলে সারার ইচ্ছে ছিল সায়ন্তিকার।প্রসঙ্গত, সায়ন্তিকার বাবা প্রদীপ দাস পেশায় গাড়িচালক। মায়ের নাম উমা। ইংরেজবাজার পুর এলাকার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের মনস্কামনা পল্লিতে সায়ন্তিকাদের এক চিলতে টালির ঘর। সেখানেই পাঁচ জনের বাস। অনটনের সংসার। সায়ন্তিকার দুই দিদির পড়াশোনা মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই সময় ভরসা জোগায় মুখ্যমন্ত্রীর ‘কন্যাশ্রী’। পরে ‘রূপশ্রী’ও। মমতার সরকারের ওই দুই প্রকল্পের জোরেই সায়ন্তিকার এক দিদি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্য দিদি কলেজে পড়ে। সেই কৃতজ্ঞতাবশতই তাঁর কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে আমসত্ত্ব,আচার দিতে আসা।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন