—প্রতীকী চিত্র।
গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়েছেন তিনি। সেই অভিযোগে গ্রেফতার করা হল একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার পদমর্যাদার এক আধিকারিককে।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১ জানুয়ারি ওই ব্যাঙ্কের জেনারেল ম্যানেজার দিলীপ মৃধা হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। দিলীপবাবু তাঁর করা অভিযোগে জানিয়েছেন, তাঁদের ব্যাঙ্কের ডালহৌসির মূল শাখায় একাধিক ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। সব ক’টি অ্যাকাউন্টই কারেন্ট অ্যাকাউন্ট। সেই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে ওই ব্যাঙ্কের অনেক গ্রাহকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। অভিযোগপত্রে দিলীপবাবু সন্দেহ প্রকাশ করে জানান, গোটা ঘটনায় তাঁদের ব্যাঙ্কেরই এক পদস্থকর্তা জড়িত। ওই অভিযোগে তিনি সন্দেহভাজন হিসাবে সহকারি জেনারেল ম্যানেজার শুভাশিস দাশগুপ্তর নামও উল্লেখ করেন।
কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখা ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তভার নেয়। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, গত ১৬ জুন ২০১৭ থেকে ১ জুন ২০০৮ সালের মধ্যে সহকারী জেনারেল ম্যানেজার শুভাশিসবাবুর সক্রিয় সহযোগিতায় ওই ব্যাঙ্কে অনেকগুলি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। সেই অ্যাকাউন্টগুলিতে ওই ব্যাঙ্কের অন্য গ্রাহকদের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা বেআইনি পথে ঢুকেছে। সব মিলিয়ে সেই টাকার পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: ৮ সাংসদ বাদ, মমতার প্রার্থীতালিকায় এ বারও বেশ কিছু চমক
আরও পড়ুন: যৌন নিগ্রহে অভিযুক্ত ভারতীয়েরসঙ্গে ৩০০ কোটি টাকার চুক্তি করেছিল গুগল!
গ্রাহকরা প্রতারিত হয়ে ব্যাঙ্কে অভিযোগ জানালে ব্যাঙ্ক তাঁদের চুরি যাওয়া টাকা ফিরিয়ে দেয়। ফলে ওই পুরো টাকাটাই লোকসান হয় ব্যাঙ্কের। সূত্রের খবর, এর পরই ব্যাঙ্ক অন্তর্তদন্ত শুরু করে এবং শুভাশিস দাশগুপ্তর সন্দেহজনক ভূমিকা খুঁড়ে পাওয়া যায়। কারণ, ওই ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলি খোলার ক্ষেত্রে সরাসরি যুক্ত ছিলেন ওই সহকারী জেনারেল ম্যানেজার। নিজের পদ কাজে লাগিয়ে তিনি ওই কাজ করেন বলে অভিযোগ।
কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা তদন্তে নেমে গোটা প্রতারণায় শুভাশিসের ভূমিকা সম্পর্কে নিশ্চিত হন। এর পরেই সোমবার রাতে তাঁর সাঁকরাইলের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় শুভাশিসকে। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান প্রবীন ত্রিপাঠী বলেন, “এ দিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে তাঁকে পেশ করা হলে ১৮ মার্চ পর্যন্ত শুভাশিসকে পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক। আমরা তাঁকে হেফাজতে নিয়ে গোটা চক্রে আর কে কে যুক্ত আছে তা জানার চেষ্টা করব।” তবে গোয়েন্দাদের সূত্রে খবর, শুভাশিস ছাড়াও আরও একজনের ভূমিকা পাওয়া গিয়েছে এই প্রতারণায়। ওই অভিযুক্ত ফেরার। তাকেও পাকড়াও করার চেষ্টা চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।
(পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলায় খবর জানতে পড়ুন আমাদের রাজ্য বিভাগ।)