ছন্দে সেবক

রোহিণী লাগোয়া শিমুলবাড়ির একটি চা বাগানে শনিবার শ্রমিক-কর্মীদের হাজিরা স্বাভাবিকই ছিল। সকাল ৭টা থেকে বেজেছে সাইরেনও। পাতা তোলার সঙ্গে বাগিচায় আগাছা সাফাইয়ের কাজও হয়েছে। খোলা রয়েছে বাগানের কারখানাও।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:৫৫
Share:

বন্‌ধের ফতোয়া থাকলেও কাজ হয়েছে শিমুলবাড়ি চা বাগানে। শনিবার। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

কোথায় শোনা যাচ্ছে চা বাগানের সাইরেন। কোথাও দেখা যাচ্ছে রেশন দোকানের সামনে লাইন। বিমল গুরুঙ্গ তথা মোর্চার কট্টরপন্থীরা বন্‌ধের ফতোয়া দেওয়ার পরেও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে সেবক-শিমুলবাড়ি।

Advertisement

রোহিণী লাগোয়া শিমুলবাড়ির একটি চা বাগানে শনিবার শ্রমিক-কর্মীদের হাজিরা স্বাভাবিকই ছিল। সকাল ৭টা থেকে বেজেছে সাইরেনও। পাতা তোলার সঙ্গে বাগিচায় আগাছা সাফাইয়ের কাজও হয়েছে। খোলা রয়েছে বাগানের কারখানাও। পাহাড়ের অন্য চা বাগানের মতোই শিমুলবাড়ির এই চা বাগানেও মোর্চা বন্‌ধ ডাকাতে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিদিন সকাল বিকেল বাগানের গেটে মোর্চা বিক্ষোভও দেখায়। সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে এক দিন শ্রমিকদের পাল্টা বিক্ষোভের জেরে পিছু হঠে বন্‌ধ সমর্থকেরা। খুলে যায় চা বাগান। ওই বাগানের দেখাদেখি এলাকার আরও তিনটে চা বাগানেও কাজ শুরু হয়েছে। কাজ চলছে কার্শিয়াঙের একটি চা বাগানেও।

বিনয় তামাঙ্গ বন্‌ধ স্থগিত রাখার ঘোষণা করার পরে মিষ্টিও বিলি হয়েছিল চা বাগানে। তার পরেই গুরুঙ্গের বন্‌ধ ফতোয়ায় অনিশ্চয়তা ছড়িয়েছিল। তাতে অবশ্য বাগানের স্বাভাবিক কাজে ছেদ পড়েনি। বাগানের জিএনএলএফ নেতা কল্যাণ বাগদাস বলেন, ‘‘কাজ বন্ধ থাকায় কেউই মজুরি পাচ্ছিলেন না। একদিন শ্রমিকরাই এগিয়ে এসে বলল তারা কাজ করবে। আমরাও আপত্তি করিনি।’’ ওই বাগানে মোর্চার সংগঠনের এক নেতার কথায়, ‘‘আমাদের কর্মী-সমর্থকরাও তো মজুরি পাচ্ছিলেন না। শ্রমিকদের স্বার্থেই সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’

Advertisement

বন্‌ধ উপেক্ষা করে আগেই বেশ কিছু দোকান খুলে গিয়েছিল সেবকে। শনিবার তা বেড়েছে। রেস্তোরাঁর সামনে থামছে পর্যটকদের গাড়ি। সেবক লাগোয়া প্রাথমিক স্কুলেও ক্লাস চলছে। রেলপথে চলছে প্যাসেঞ্জার ট্রেন। দু’দিন ধরে সেবকের রেশন দোকান থেকেও আনাজ বিলি হয়েছে। এক বাসিন্দা বলে দিলেন, ‘‘আন্দোলনে রয়েছি, বন্‌ধে নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন