মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রত্যাঘাত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে আগামী মঙ্গলবার অর্থাৎ, ১০ জুন বিধানসভায় বিশেষ প্রস্তাব আনা হবে। বৃহস্পতিবার এমটাই জানিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, দু’ঘণ্টার জন্য এই বিষয়ে আলোচনা হবে। সেই আলোচনায় অংশ নিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
৯ জুন থেকে বিধানসভায় শুরু হচ্ছে বাদল অধিবেশন। সেখানে পহেলগাঁও কাণ্ড এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে বিশেষ প্রস্তাব আনা হতে পারে বলে আগেই জানিয়েছিলেন স্পিকার। বৃহস্পতিবার তিনি সেই প্রস্তাব আনার দিনক্ষণ ঘোষণা করলেন। ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতের আবহে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে শাসকদল তৃণমূল। সারা দেশের মতো এ রাজ্যেও সেনাবাহিনীকে সম্মান জানিয়ে ‘তিরঙ্গা যাত্রা’ করেছে বিজেপি। মনে করা হচ্ছে, সেই আঁচ এ বার পড়তে চলেছে বিধানসভায়। সেনাবাহিনীর ‘কৃতিত্ব’ নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির কোনও মতপার্থক্য নেই। তবে পহেলগাঁওয়ে নিরাপত্তা, কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেতাদের একাংশ। এই আবহে বিধানসভায় বিশেষ প্রস্তাব আনতে চলেছেন স্পিকার, যা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই মনে করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বিধানসভায় ছিল সর্বদল বৈঠক। স্পিকার জানিয়েছেন, আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি ছাড়া বিরোধী দলের অন্য কোনও বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন না সেখানে। তার পরেই প্রশ্ন উঠছে, আসন্ন অধিবেশন কতটা মসৃণ ভাবে চলবে? স্পিকারের যদিও আশা, আসন্ন অধিবেশনে বিরোধীদের সাহায্য পাবেন। এ বার গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশ হবে বলেই তিনি জানান। তাঁর কথায়, ‘‘আশা করব, সকলের সহযোগিতা পাব। গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশন যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে করতে পারি, সকলের কাছে সেটাই আবেদন। উত্তাপ আছে, থাকবেই। পরিষদীয় গণতন্ত্রে উত্তাপ না থাকলে, তা দুর্বল হয়।’’ তবে ‘উত্তাপ’ থাকলেও বিধানসভা সচল থাকবে বলে জানিয়েছেন বিমান।
বিধানসভার অধিবেশনে মুর্শিদাবাদ নিয়ে আলাদা আলোচনা চাইছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি বলে খবর। মুর্শিদাবাদের কিছু জায়গায় খুন ও লুটপাটের ঘটনায় তারা রাজ্যের শাসকদলের দিকে আঙুল তুলেছে। এই আলোচনা প্রসঙ্গে স্পিকার বলেন, ‘‘অনেকের অনেক কিছু বলার থাকতে পারে। আইনত যেটা গ্রহণ করা সম্ভব, করব।’’ স্পিকার জানিয়েছেন,গঙ্গার ভাঙন এবং পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে এ বার দু’টি প্রস্তাব আসতে চলেছে। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল আসতে চলেছে বিধানসভায়। প্রায় দু’সপ্তাহ চলবে বিধানসভা।