চাকরিহারা শিক্ষকদের প্রতিবাদ। — ফাইল চিত্র।
শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুসারে শনিবারই ‘দাগি অযোগ্য’দের তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। এ বার সেই তালিকায় জুড়ল আরও দুই নাম। ফলে প্রাথমিক ভাবে তালিকায় ১৮০৪ জনের নাম থাকলেও এ বার সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৮০৬-এ।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, সাত দিনের মধ্যে তালিকা প্রকাশ করতে হবে এসএসসিকে। সেই মতো আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যেই শনিবার কমিশনের ওয়েবসাইটে তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকায় প্রাথমিক ভাবে মোট ১৮০৪ জনের নাম ছিল। মধ্যরাতের পরে আরও দু’জনের নাম ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়— রোশেনারা বেগম এবং সঞ্চিতা দাস। ফলে আরও সংখ্যা বাড়ল ‘দাগি অযোগ্য’ শিক্ষকদের।
অন্য দিকে, নাম প্রকাশের পর এসএসসির বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন দাগি অযোগ্যদের তালিকায় থাকা শিক্ষকেরা। তাঁদের দাবি, এসএসসি পিঠ বাঁচাতে এই তালিকা প্রকাশ করেছে। ‘অযোগ্য’ বলে চিহ্নিত এক শিক্ষক কমলেশ কাপাট বলেন, ‘‘কিসের উপর ভিত্তি করে এসএসসি এই তালিকা প্রকাশ করল, সেটা আমরা আদালতে জানতে চাইব। সুপ্রিম কোর্ট নিজেই তো সম্পূর্ণ রূপে ঠিক করে দিতে পারেনি কারা যোগ্য কারা অযোগ্য। তা হলে এই তালিকার বৈধতা কী?’’ সোমবার এই তালিকার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, আগামী ৭ এবং ১৪ সেপ্টেম্বর এসএসসির নিয়োগ পরীক্ষা রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চের নির্দেশ রয়েছে, ‘দাগি অযোগ্য’ প্রার্থীরা পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। এই পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের নামের তালিকা সাত দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে কমিশনকে। শীর্ষ আদালতের ওই নির্দেশ মতো ‘দাগি অযোগ্য’দের নামের তালিকা প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।