নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-র নিয়োগ মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় শুক্রবারের পর শনিবারও চলল সাক্ষ্যগ্রহণের পর্ব। শুক্রবার কমিশনের এক প্রাক্তন চেয়ারম্যানের সাক্ষ্য নেওয়া হয় আলিপুর আদালতে। শনিবার আরও এক প্রাক্তন চেয়ারম্যানের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী শনিবার উপস্থিত ছিলেন এজলাসে। সাক্ষীর কাছে বিপ্লব জানতে চান, তিনি কোন সময়ে এসএসসি-র চেয়ারম্যান ছিলেন। আইনজীবীর প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ব্রাত্য বসু শিক্ষামন্ত্রী (প্রথম মেয়াদে) থাকাকালীন তিনি কমিশনের চেয়ারম্যান পদে ছিলেন। বস্তুত, তিনি পদে থাকাকালীন একটি মোবাইল এবং একটি চেয়ার কেনার বিষয় প্রকাশ্যে আসার পরে হইচই হয়। ওই ঘটনার পরে তিনি কমিশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন।
আলিপুর আদালতে শনিবার সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, ওই প্রাক্তন চেয়ারম্যান তদন্তকারী সংস্থাকে যে বয়ান দিয়েছেন এবং এজলাসে তিনি যে সাক্ষ্য দিচ্ছেন, তাতে কিছু জায়গায় হেরফের রয়েছে। যদিও পার্থের আইনজীবী ওই সাক্ষীর কাছে জানতে চান, সিবিআই বয়ান নথিভুক্ত করার সময় তাঁকে শুনিয়েছিল কি না। এর জবাবে ওই প্রাক্তন চেয়ারম্যান জানান, তাঁকে বয়ান শোনানো হয়নি। সাক্ষীর দাবি, তিনি পদে থাকাকালীন যে ঘটনাকে ঘিরে হইচই হয়েছিল, তার জেরে তাঁকে টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছিল। তিনি সেই টাকা ফেরতও দিয়েছিলেন বলে আদালতে জানান। অন্য দিকে মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়দের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত ওই সাক্ষীকে জিজ্ঞাসা করেন, ঘটনা সম্পর্কে কিছু তিনি জানেন কি না। এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য ও নথি তিনি জমা দিতে পারবেন কি না, তা-ও জানতে চান আইনজীবী। তবে সাক্ষীর বক্তব্য, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না।
গত শুক্রবার থেকে নিয়োগ মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হল আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে। বিচারক বিশ্বরূপ শেঠের এজলাসে সাক্ষ্য নেওয়া হয় এসএসসির এক প্রাক্তন চেয়ারম্যানের। তিনি ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান পদে ছিলেন। সিবিআইয়ের আইনজীবী তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, এসএসসির চেয়ারম্যান হওয়ার আগে তিনি কোথায় ছিলেন? প্রাক্তন চেয়ারম্যান জানান, তৃণমূলের শিক্ষা সেলের সভাপতি ছিলেন এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করতেন। ২০১১ সালের ৬ জুন চেয়ারম্যান পদের জন্য তাঁর নামে অনুমোদন দিয়েছিলেন রাজ্যপাল।