BJP

BJP: কালীঘাটের চোরেরাও ছাড় পাবেন না, দাবি সুকান্তর, হুমকিই সম্বল বিজেপি-র, পাল্টা তৃণমূলের

তৃণমূল নেতৃত্বের নাম না করেও তাঁদের দুর্নীতিবাজ বলে সুকান্তর হুঁশিয়ারি, বড় চোরেরা কালীঘাটে বসে থাকলেও শাস্তির হাত থেকে বাঁচতে পারবেন না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২১ ২১:২৭
Share:

কালনার সাংবাদিকদের মুখোমুখি দিলেন রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। —নিজস্ব চিত্র।

দুর্নীতি করলে সাজা পেতেই হবে। তা সে বর্ধমান পুরসভার প্রশাসক প্রণব চট্টোপাধ্যায় হন বা কালীঘাটে থাকা তৃণমূল নেতৃত্ব। ছোট হোক বা বড়— কোনও চোরই ছাড় পাবেন না। শনিবার শাসকদলকে এই হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তৃণমূল নেতৃত্বের নাম না করেও তাঁদের দুর্নীতিবাজ বলে সুকান্তর আরও হুঁশিয়ারি, বড় চোরেরা কালীঘাটে বসে থাকলেও শাস্তির হাত থেকে বাঁচতে পারবেন না। তাঁর দাবি, ছ’মাসের মধ্যেই এ রাজ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে বিজেপি। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের পাল্টা দাবি, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় হুমকি-হুঁশিয়ারি ছাড়া কোনও সম্বল নেই বিজেপি-র।

Advertisement

‘বর্ধমান সনমার্গ’ নামে একটি বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার মামলায় বৃহস্পতিবার বর্ধমান পুরসভার প্রশাসক প্রণব চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তার পরই শনিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনায় বিজেপি-র একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছেন সুকান্ত। কালনার ১০৮ শিবমন্দির ঘুরে দেখার পর সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁর দাবি, ‘‘দুর্নীতি বা চুরি করলে চোরকে সাজা পেতেই হবে।’’ পাশাপাশি, তাঁর হুঁশিয়ারি, “আর ছ’মাস যেতে দিন। দেখবেন বড় চোরেরা যাঁরা কালীঘাটে বসে রয়েছেন, তাঁরাও কেউ ছাড়া পাবেন না।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘ছ’মাস অপেক্ষা করুন। পশ্চিমবঙ্গে আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবই। আর তখনই তৃণমূলকে বোঝাব, কত ধানে কত চাল!’’

তৃণমূল নেতৃত্বকে উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনের সমকক্ষ বলেছেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, ‘‘২ মে-র পর থেকে বিরোধীদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে শাসকদল। এমন অত্যাচার দেশের কোনও রাজ্যে হয় না। কিম জিং উনের উত্তর কোরিয়াতেই এমন অত্যাচার হয় বলেই সেখানে বিরোধী পার্টি নেই।’’

Advertisement

যদিও সুকান্তর মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র দেবু টুডু। তাঁর পাল্টা দাবি, ‘‘বিজেপিশাসিত রাজ্যে গণতন্ত্র আছে কি না, তা গোটা দেশের মানুষ জানেন। আসলে বিধানসভা ভোটে রাজ্যবাসী বিজেপি-কে প্রত্যাখান করার পর হুমকি-হুঁশিয়ারিটুকু সম্বল রয়েছে তাঁদের। শুধু প্রতিহিংসার রাজনীতির কথাই বলে চলেছে বিজেপি। আগামী লোকসভা ভোটে এর জবাবও ওদের দিয়ে দেবেন রাজ্যবাসী।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন