ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত বিশ্বভারতীর গবেষক

পড়শি বাংলাদেশ থেকে বিশ্বভারতীর পাঠভবনের পড়তে আসা এক ছাত্রীকে দিনের পর দিন ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক ছাত্র। সফিকুল ইসলাম নামে ওই গবেষক ছাত্রও আদতে বাংলাদেশের। সিউড়ির বিশেষ আদালতের বিচারক মহানন্দ দাস বুধবারই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন। আজ, বৃহস্পতিবার সাজা

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৬ ০২:০৩
Share:

পড়শি বাংলাদেশ থেকে বিশ্বভারতীর পাঠভবনের পড়তে আসা এক ছাত্রীকে দিনের পর দিন ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক ছাত্র। সফিকুল ইসলাম নামে ওই গবেষক ছাত্রও আদতে বাংলাদেশের। সিউড়ির বিশেষ আদালতের বিচারক মহানন্দ দাস বুধবারই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন। আজ, বৃহস্পতিবার সাজা

Advertisement

ঘোষণার দিন ধার্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী রণজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

ঢাকা থেকে বিশ্বভারতীর পাঠভবনে পড়তে এসেছিল দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী। বাংলাদেশেরই সিরাজগঞ্জ দাদপুরের বাসিন্দা সফিকুল তখন বিশ্বভারতীর গ্রাম সংগঠন বিভাগে গবেষক ছিলেন। ছাত্রীটির পরিবারের পূর্ব পরিচিতও ছিলেন সফিকুল। ছাত্রীটির পরিবার সফিকুলকে স্থানীয় অভিভাবকের স্থান দেয়। সেই সফিকুলের বিরুদ্ধেই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।

Advertisement

অত্যাচারে অতিষ্ঠ ওই ছাত্রী ২০১৪ সালের ৫ ডিসেম্বর শান্তিনিকেতন ফাঁড়িতে দিনের পর দিন ধর্ষণ এবং ছবি তুলে রেখে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগ জানিয়েছিল। অভিযোগ পাওয়ার পরেই ওই ছাত্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছিল যুবকের ল্যাপটপ, পেনড্রাইভ, সিম কার্ড। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে তোলপাড় হয়েছিল বিশ্বভারতী। কর্তৃপক্ষ ওই অভিযুক্ত ছাত্রের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে। সেই মামলারই বিচার চলছিল সিউড়ির বিশেষ আদালতে।

মামলার সরকারি আইনজীবী রণজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ছাত্রীর বন্ধু, শিক্ষিকা সহ মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। সেই সাক্ষ্যের ভিত্তিতেই দোষী সাব্যস্ত হন অভিযুক্ত। নির্যাতিতা ছাত্রী নাবালিকা হওয়ায় ভরতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩, ৩৪২ এবং ৩৫৪ ছাড়াও পক্সো ধারায় মামলা হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন