TMC

হলদিয়া থেকে তৃণমূলকে হলদি নদীতে ফেলার হুঙ্কার শুভেন্দুর, বাবুলের মুখে ফের ‘ভাইপো’

৩০ জানুয়ারির মধ্যে নিজের জেলায় জোড়াফুল শিবিরের দুর্গ ‘ধূলিসাৎ’ করে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিয়া শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২১ ২২:৩৭
Share:

হলদিয়ার দ্বারিবেড়িয়ায় জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী ও বাবুল সুপ্রিয়। নিজস্ব চিত্র

পূর্ব মেদিনীপুর থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করে হলদি নদীতে ‘ছুড়ে ফেলার’ হুঙ্কার দিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া ওই নেতা। শনিবার হলদিয়া বিধানসভার দ্বারিবেড়িয়ায় সভা করেন শুভেন্দু। সেই মঞ্চ থেকে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে নিজের জেলায় জোড়াফুল শিবিরের দুর্গ ‘ধূলিসাৎ’ করে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন তিনি। ওই মঞ্চ থেকেই তৃণমূলকে ‘ব্যাড কোম্পানি’ আখ্যা দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। নাম না করে ‘ভাইপো’ বলে অভিষেককে খোঁচাও দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

শনিবারের সভায় তৃণমূলকে নিশানা করে আগাগোড়া ঝাঁঝালো আক্রমণ শানান শুভেন্দু। চ্যালেঞ্জের সুরে বলেন, ‘‘বিজেপির একজন প্রাথমিক সদস্য হয়ে এখান থেকে এই কোম্পানিটাকে তুলে পাশের হলদি নদীতে ফেলে দেব। আপনারা শুধু আমাকে শুধু সাহায্য করুন।’’

বস্তুত শুভেন্দুর এই আহ্বান পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল শিবিরের উদ্দেশে বলে ব্যাখ্যা রাজনৈতিক মহলের একাংশের। আবার একইসঙ্গে তাঁকে ঘিরে গেরুয়া শিবিরে প্রত্যাশার পারদ ক্রমশ চড়ছে বলেও মনে করছেন অনেকে। কারণ ১৪ দিন হল বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু। এর মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের ‘রক্তক্ষরণ’ ঘটিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা শুভেন্দুর ছোট ভাই সৌম্যেন্দু অধিকারী-সহ ১৪ জন কাউন্সিলর। এই কয়েক দিনে তৃণমূলের প্রায় ৫ হাজার কর্মী সমর্থকও তাঁদের দলে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। এই আবহে তৃণমূলের দুর্গে হানা দেওয়ার ধারা বজায় রাখতে, শুভেন্দু আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়াবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘ভাইপো মানে অভিষেক’, এ বার নাম করেই আক্রমণ লকেটের

আরও পড়ুন: কলকাতার পাশাপাশি এ বার প্রথম পিএসি-র বৈঠক বসছে বহরমপুরেও

শনিবার সেই ইঙ্গিত দিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘এই পার্টিটাকে গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে দাঁড় করিয়েছিলাম। আমি প্রতিটি এলাকার রাস্তাঘাট চিনি। বাইকে চড়ে আমি গোটা এলাকায় আবার ঘুরব। গ্রামে-গ্রামে, পাড়ায়-পাড়ায় যাব’’।

ভোটে জেতার কৌশল নিয়ে খোলামেলা মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘মহিষাদলে ১৭ হাজার ভোটে পিছিয়ে আছে বিজেপি। তবে গত বিধানসভা নির্বাচনে বেতকুণ্ডুতে ভোট হয়নি।’’ সে সময় অবশ্য তৃণমূলে ছিলেন শুভেন্দু। এ বার সেখানে বিজেপি তাদের ঘাটতি পুষিয়ে নেবে বলে দাবি তাঁর। গত বিধানসভায় বামেদের দখলে থাকা হলদিয়ায় এ বার ‘ভোট করিয়ে’ ছিনিয়ে নেওয়ার দাবিও করেছেন শুভেন্দু।

শুভেন্দুর আক্রমণের ঝাঁঝ বজায় ছিল বাবুলের বক্তব্যেও। শনিবার ফের ‘ভাইপো’ বলে বিঁধেছেন তিনি। ওই সম্বোধনের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বাবুল বলেন, ‘‘আপনারা শুভেন্দু অধিকারীকে শুভেন্দু বলেই ডাকেন। কিন্তু ভাইপোকে কেন ভাইপো বলেই সম্বোধন করা হয়? কারণ উনি নিজে কিছুই করেননি।’’ সেই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বাবুলের তোপ, ‘‘উনি দিদি শব্দের সংজ্ঞাই বদলে দিয়েছেন। এখন লোকে দিদি বললে বিরক্ত হয়।’’ এর পাশাপাশি কয়লাপাচার এবং গরুপাচার-কাণ্ড নিয়েও তৃণমূলকে বিঁধেছেন বাবুল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন