(বাঁ দিকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক টেবিলে বৈঠকে বসতে রাজি নন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, যাঁদের হাতে বিজেপি নেতাকর্মীদের রক্ত লেগে আছে তাঁদের সঙ্গে হাসিমুখে ছবি তোলা সম্ভব নয়! আগামী সোমবার নবান্নে লোকায়ুক্ত কমিটির বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ পাঠানো হয় শুভেন্দুকে। তবে তিনি লোকায়ুক্ত কমিটির বৈঠকে যাবেন না, তা স্পষ্ট করে দিলেন।
প্রতি বছরই লোকায়ুক্ত কমিটির বৈঠক হয়। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বেই সেই বৈঠক হয়ে থাকে। কমিটির অন্য সদস্যদের মতো বিরোধী দলনেতাকেও বৈঠকে থাকতে বলা হয়। এটাই রীতি। তবে গত সাড়ে চার বছরে এ ধরনের কোনও বৈঠকে যোগ দেননি শুভেন্দু। আগামী সোমবার অর্থাৎ ১ ডিসেম্বর নবান্নে লোকায়ুক্ত কমিটির বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। নবান্নের তরফে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ভাবে আমন্ত্রণও করা হয় শুভেন্দুকে। তাঁর অফিসে চিঠি পাঠিয়ে বৈঠকের কথা জানানো হয়। যদিও সেই সময় শুভেন্দুর অফিসের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। সেখানেই লোকায়ুক্ত কমিটির বৈঠকে তাঁর যোগ দেওয়ার সম্ভাবনার কথা জানতে চাওয়া হয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু স্পষ্ট জানান, তিনি ওই বৈঠকে যাবেন না। তাঁর কথায়, ‘‘দুর্নীতিগ্রস্ত মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক বসব না।’’ একই সঙ্গে শুভেন্দু টেনে আনেন আক্রান্ত হওয়া বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর প্রসঙ্গ। বিরোধী দলনেতার কথায় ‘‘খগেন মুর্মুকে রক্তাক্ত দেখার পর তো কোনও বৈঠকে যোগদান সম্ভব নয়। যাঁদের হাতে বিজেপি নেতাকর্মীদের রক্ত লেগে রয়েছে, তাঁদের সঙ্গে হাসিমুখে ছবি তোলা সম্ভব নয়।”
শুধু লোকায়ুক্ত কমিটির বৈঠক নয়, গত চার বছরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও প্রশাসনিক বৈঠকে বসেননি শুভেন্দু। তথ্য কমিশনার নিয়োগ কিংবা লোকায়ুক্ত গঠন নিয়ে বিধানসভায় আয়োজিত বৈঠকে ছিলেন না তিনি।