BJP

ষড়যন্ত্র হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে, হস্তক্ষেপ চেয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দিলেন শুভেন্দু

রাজ্যপাল শুভেন্দুর চিঠিটির ছবি-সহ একটি টুইট করেন। তাতে তিনি ‘ট্যাগ’ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ ২০:০৯
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

বুধবার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। চিঠিতে শুভেন্দু অভিযোগ করেছেন, ‘অবস্থান বদলাতেই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। পুলিশ-প্রশাসন রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক আচরণ করছে। আমার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে আপনার হস্তক্ষেপ চাইছি’।

Advertisement

রাজ্যপাল শুভেন্দুর চিঠিটির ছবি-সহ একটি টুইট করেন। তাতে তিনি ‘ট্যাগ’ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। টুইটে রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী আমার কাছে পুলিশি হয়রানি থেকে বাঁচতে হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেছেন। তিনি লিখেছেন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশে তাঁর এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে পুলিশ ফৌজদারি মামলা আনা শুরু করেছে’।

রাজ্যপালকে চিঠিতে শুভেন্দু জানিয়েছেন, তিনি জনস্বার্থেই মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করেছেন। তার পরেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য তাঁকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। শুভেন্দুর চিঠিতে অভিযোগের তির সরাসরি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে। শুভেন্দু লিখেছেন, ‘রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে আমি আপনার হস্তক্ষেপ চাইতে বাধ্য হচ্ছি। যাতে রাজ্যের পুলিশ এবং প্রশাসন আমার এবং আমার অনুগামীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত ফৌজদারি মামলার অস্ত্র প্রয়োগ না করে। গত ২৫ বছর ধরে আমি জনজীবনে (পাবলিক লাইফ) রয়েছি। বরাবর আমার মূল লক্ষ্য থেকেছে মানুষের সেবা করা। আমি প্রচণ্ড প্যাশনের সঙ্গে ত্যাগ এবং দায়বদ্ধতা নিয়ে জনসেবা করেছি’।

Advertisement

শুভেন্দু আরও লিখেছেন, ‘২৭ নভেম্বর ইস্তফা দেওয়ার আগে পর্যন্তও মন্ত্রী হিসেবে আমি মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলাম। এখন শুনছি, আমার রাজনৈতিক অবস্থান বদলের পর প্রশাসনের উচ্চপদস্থরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত আমার বিরুদ্ধে নেমে পড়েছেন। রাজনীতির ভিত্তিতে আমার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা এনে পুলিশি অত্যাচার চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যা এ রাজ্যে আইনের শাসনের পরিচয় দেয় না। এই অশুভ চেষ্টা সংবিধানে-বিরোধী। যা অবস্থা, তাতে মনে হচ্ছে, মানবাধিকার এবং স্বাধীনতা শুধু শাসকদলের সঙ্গে পুলিশের আঁতাঁতের ভিত্তিতেই পাওয়া সম্ভব। এই পরিস্থিতিতে আমি আপনার হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করছি’।

আরও পড়ুন: সরকারি না বেসরকারি তহবিল? পিএম কেয়ার্স নিয়ে ফের নয়া বিতর্ক

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন