ছেলে ঢুকিয়ে দেব... এত দিন পর ক্ষমাপ্রার্থী তাপস

রোজ ভ্যালি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার ১৩ মাস পরে জামিন পেয়ে সেই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন ‘দাদার কীর্তি’র নায়ক। শনিবার রাতে ভুবনেশ্বরের হাসপাতালে শুয়ে এবিপি আনন্দ-কে তাপস জানালেন, তিনি অন্যায় করেছিলেন। বললেন, ‘‘আমি দেশবাসীর কাছে ওই উক্তির জন্য ক্ষমা চাইছি।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৪৬
Share:

ভুবনেশ্বরে তাপস পাল। ছবি: এবিপি আনন্দ।

নদিয়ার নাকাশিপাড়ার জনসভায় দাঁড়িয়ে বলা ‘ঘরে ছেলে ঢুকিয়ে দেব, রেপ করে চলে যাবে’ মন্তব্যের রেশ আজও বয়ে বেড়াতে হয় তৃণমূলের সাংসদ-অভিনেতা তাপস পালকে।

Advertisement

রোজ ভ্যালি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার ১৩ মাস পরে জামিন পেয়ে সেই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন ‘দাদার কীর্তি’র নায়ক। শনিবার রাতে ভুবনেশ্বরের হাসপাতালে শুয়ে এবিপি আনন্দ-কে তাপস জানালেন, তিনি অন্যায় করেছিলেন। বললেন, ‘‘আমি দেশবাসীর কাছে ওই উক্তির জন্য ক্ষমা চাইছি।’’

এর আগে তাপসের স্ত্রী নন্দিনী ফোনে আনন্দবাজারকে বলেছিলেন, ‘‘নাকাশিপাড়ায় সেই বেফাঁস মন্তব্যের পরে অনুতপ্ত ছিলেন তাপস। আমরাও সমর্থন করিনি।’’ দীর্ঘদিনের বন্ধু, সিনেমা ও রাজনীতির জগতের সহকর্মী শতাব্দী রায়ের মন্তব্য, ‘‘একটা ভুল সারা জীবন কেন বয়ে বেড়াতে হবে? কোনও কারণে বলে ফেলেছিলেন। অনুশোচনা হচ্ছে, এটাই তো বড় কথা। তার উপরে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: সারদা রিপোর্ট পেশে আরও সময় চায় ইডি

রোজ ভ্যালি কাণ্ডে ২০১৬-র ৩০ ডিসেম্বর গ্রেফতার হন ৫৮ বছরের অভিনেতা। সেই রাতেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ভুবনেশ্বরে। প্রথম ক’টা মাস জেলে ছিলেন। গত বছরের মার্চ থেকে হাসপাতালে।

১ ফেব্রুয়ারি কটক হাইকোর্ট থেকে জামিন পান এই তৃণমূল সাংসদ। শনিবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে ভুবনেশ্বরেই এক বন্ধুর বাড়ি যান। সেখানেই রবিবার সকালে এবিপি আনন্দ-কে বলেন, ‘‘শরীর এখনও ভাল নেই। প্রয়োজনে নার্সিংহোমেও ভর্তি হতে পারি। চিকিৎসকেরা যেমন বলবেন, তেমন চলব।’’ রাজনৈতিক জীবনে ফেরা নিয়ে চুপ থাকলেও জানিয়েছেন, অভিনয়ে ফিরতে চান। তাঁর কথায়, ‘‘অভিনয় ছাড়া বাঁচতে পারব না।’’

তাপসের জামিন নিয়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব কোনও মন্তব্য করেননি। যদিও তাপস এ দিন বলেন, ‘‘আমি জানি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার সঙ্গে ছিলেন, আছেন, থাকবেন।’’ রবিবার ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতা ফেরার সময়ে মাঝপথে তাপসের গাড়ি থেকে নামেন তাঁর এক বন্ধু। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কেউ যেন সাংসদের গাড়ির পিছু না নেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন