Bratya Basu

Bratya Basu: আদালতে জট কাটলেই শিক্ষক নিয়োগ করবে রাজ্য, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য

রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে বহু দিন ধরেই শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। শেষ এই নিয়োগ প্রক্রিয়া হয় ২০১৬ সালে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২২ ২০:০৩
Share:

ব্রাত্য বসু

মামলার পর মামলা। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ। কিছু ক্ষেত্রে তার উপরে স্থগিতাদেশ এবং তা নিয়ে টানাপড়েন। স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে জট, জটিলতা ও বিতর্কের শেষ হচ্ছে না যেন। তার মধ্যেই দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ করতে চায় রাজ্য সরকার। আদালতের নির্দেশ পেলেই সেই প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হবে। স্কুল শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে শোরগোলের আবহে এ কথা জানালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

Advertisement

শুক্রবার তৃণমূল ভবনে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন ব্রাত্য। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ করে স্কুলগুলিতে তৈরি হওয়া শূন্যপদ পূরণ করতে চাইছি। ঢেলে সাজাতে চাইছি স্কুলের শিক্ষা ব্যবস্থাকে। কিন্তু এই মুহূর্তে সার্ভার রুম বন্ধ থাকায় কাজের সমস্যা হবে। আমরা আশা করছি, মহামান্য আদালত সুবিচার করবেন।’’

রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে বহু দিন ধরেই শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। শেষ এই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলে ২০১৬ সালে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, শুধু শিক্ষক নিয়োগই থমকে নেই। ওই সব স্কুলে শিক্ষাকর্মী নিয়োগও শেষ বারের মতো হয়েছে ২০১৫ সালে। ফলে দিনে দিনে সরকারি স্কুলেও শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর সংখ্যা কমছে। এই পরিস্থিতিতে বহু স্কুলে শূন্যপদ তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি বেশ কিছু শূন্যপদও তৈরি করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। ব্রাত্য বলেন, ‘‘ধাপে ধাপে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। প্রয়োজনে ৩ বছরও লাগতে পারে।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, স্কুল শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলা চলছে কলকাতা হাই কোর্টে। ওই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মামলায় জড়িয়ে পড়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) উপদেষ্টা কমিটি, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম। বেআইনি ভাবে নিয়োগের অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষিকার চাকরি গিয়েছে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। আদালতের নির্দেশেই এসএসসি ভবনের সার্ভার রুম বর্তমানে সিবিআইয়ের কব্জায় রয়েছে। এই জটিলতার কারণেই রাজ্যে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া কার্যত আটকে রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন