সরকারি স্কুলে ভর্তি বাড়াতে পার্থর দ্বারস্থ

এ রাজ্যে হিন্দু, হেয়ার, বেথুন-সহ ৩৯টি সরকারি স্কুলের লেখাপড়ার উৎকর্ষের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এই স্কুলগুলিতে পড়ুয়া ক্রমশ কমছে। শুধু কলকাতা নয়, জেলাতেও ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে ছেলেমেয়েদের পড়ানোর ঝোঁক বাড়ছে অভিভাবকদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:০৮
Share:

সরকারি স্কুলে আশানুরূপ সংখ্যায় ছাত্র ভর্তি হচ্ছে না। তাই বেশি সংখ্যায় পড়ুয়া টানতে রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রীয় ভাবে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি জারি করার আর্জি জানাল সরকারি স্কুলশিক্ষক সমিতি। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে এ নিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে তারা।

Advertisement

এ রাজ্যে হিন্দু, হেয়ার, বেথুন-সহ ৩৯টি সরকারি স্কুলের লেখাপড়ার উৎকর্ষের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এই স্কুলগুলিতে পড়ুয়া ক্রমশ কমছে। শুধু কলকাতা নয়, জেলাতেও ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে ছেলেমেয়েদের পড়ানোর ঝোঁক বাড়ছে অভিভাবকদের। ফলে পড়ুয়া হারাচ্ছে বাংলা মাধ্যমের সরকারি স্কুলগুলি। অনেক স্কুলেই সব ক্লাসে ভর্তির লটারির জন্য পর্যাপ্ত পড়ুয়া মিলছে না। কোথাও কোথাও পড়ুয়া ভর্তি হয়েও স্কুল ছেড়ে চলে যাচ্ছে।

সরকারি স্কুলশিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেন, ‘‘উত্তরপাড়া সরকারি স্কুলে গত বছর ভর্তির সময় ষষ্ঠ শ্রেণির ৪০টি আসনে ভর্তির লটারির জন্য ৪০টি আবেদনও জমা পড়েনি! হিন্দু স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে একই
ঘটনা ঘটেছিল।’’

Advertisement

সমিতির সদস্যরা জানান, সাধারণত ভর্তির জন্য লটারির বিজ্ঞপ্তি সংশ্লিষ্ট স্কুলেই দেওয়া হয়। স্কুলে এলেই অভিভাবকেরা তা জানতে পারেন। তার ফলে অনেকেই লটারির কথা জানতে পারেন না। কিন্তু কেন্দ্রীয় ভাবে স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলে তা অনেক বেশি অভিভাবকের নজরে আসবে। তাতে পড়ুয়ার সংখ্যাও বাড়তে পারে। সরকারি স্কুলে ভর্তি নিয়ে প্রচারের প্রয়োজনও রয়েছে।

সৌগতবাবু বলেন, ‘‘প্রাক-প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার আর্জি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে জানিয়েছি।’’ ফাঁকা আসনে স্কুল শিক্ষা দফতরের কয়েক জন কর্মী লটারি পদ্ধতি এড়িয়ে ভর্তি করাচ্ছেন বলেও তাঁর অভিযোগ।

ইংরেজি মাধ্যমের চাহিদা বাড়ায় সরকারি স্কুলে প্রাথমিক স্তর থেকে ইংরেজি মাধ্যম চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। ধাপে ধাপে ইংরেজি মাধ্যমের ২০টি সরকারি স্কুল চালু করার কথা প্রথমে ঠিক হয়। পরে সিদ্ধান্ত হয়, রাজ্যে মোট ১০০টি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল গড়া হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement