Gang Rape

Gang Rape: প্রেমের ফাঁদ পেতে কিশোরীকে ‘গণধর্ষণ’, অভিযুক্ত দাদার বন্ধু-সহ দুই, গ্রেফতার এক ভাতারে

মাত্র ১৫ দিনের প্রেম আসলে ‘ফাঁদ’ ছিল। সেই ‘প্রেমের ফাঁদে’ পা দিয়েই গণধর্ষণের শিকার হতে হল ওই কিশোরীকে। এ অভিযোগ কিশোরীর মামার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ভাতার শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ১৮:৫৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

দাদার বন্ধুর সঙ্গে ফোনে পরিচয়। সেই পরিচয় থেকে তাঁর সঙ্গে প্রেমের শুরু কিশোরীর। তবে মাত্র ১৫ দিনের সে প্রেম আসলে ‘ফাঁদ’ ছিল। সেই ‘প্রেমের ফাঁদে’ পা দিয়েই গণধর্ষণের শিকার হতে হল ওই কিশোরীকে। ভাতার থানায় এই অভিযোগ করেছেন কিশোরীর মামা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার সাহিরুদ্দিন চৌধুরীকে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সাহিরুদ্দিনের সঙ্গী তথা অপর অভিযুক্ত শেখ মহম্মদ আমির ওরফে শেখ ফজল পলাতক।

Advertisement

কিশোরীর মামার অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফোন করে তাঁর ভাগ্নিকে ডেকেছিল সাহিরুদ্দিন। তার পর তাঁকে টোটোয় চাপিয়ে নিয়ে যান একটি নির্জন মাঠে। সেখানেই এক যুবকের সঙ্গে মিলে তাঁর ভাগ্নিকে ধর্ষণ করেন সাহিরুদ্দিন।

পুলিশ সূত্রে খবর, পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বলগোনা গ্রামের বাসিন্দা সাহিরুদ্দিন এবং শেখ ফজলের বিরুদ্ধে ১৭ বছরের স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই ছাত্রীর সঙ্গে দিন পনেরো আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ১৯ বছরের সাহিরুদ্দিনের। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কিশোরীকে ফোনে ডেকে এনে টোটোয় চাপিয়ে আমারুণ গ্রামের কাছে মাঠের ধারে নিয়ে গিয়েছিলেন সাহিরুদ্দিন। সেখানে ফজলের সঙ্গে মিলে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এর পর কিশোরীকে ওই মাঠেই ফেলে পালিয়ে যান তাঁরা।

Advertisement

পুলিশের জালে কিশোরীর ‘প্রেমিক’ সাহিরুদ্দিন চৌধুরী। —নিজস্ব চিত্র।

কিশোরীর দাবি, অত্যাচারের পর কোনও রকমে ভাতার বাজারের কাছে এক জনকে গোটা ঘটনার বিবরণ দেয় সে। এর পর সেখান থেকেই খবর যায় পুলিশের কাছে।

পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতেই তার মামা ভাতার থানায় দুই যুবকের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। এর পর বলগোনা বাজার থেকে সাহিরুদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে শেখ ফজল পলাতক। তাঁর খোঁজ শুরু হয়েছে। ভাতার হাসপাতালে ওই কিশোরীর মেডিক্যাল পরীক্ষার করানো হয়েছে। পাশাপাশি, তার বয়ানের ভিডিয়োগ্রাফি করানো হয়েছে। পুলিশের দাবি, জেরায় ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন সাহিরুদ্দিন।

শুক্রবার ধৃতকে বর্ধমানের পকসো আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতের তিন দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন পকসো আদালতের বিচারক। ধৃতের মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর জন্য আবেদন জানান তদন্তকারী আধিকারিকেরা। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক স্টেট মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধানকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। বর্ধমানের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম)-কে ছাত্রীর গোপন জবানবন্দি নথিভুক্ত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে পকসো আদালত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন