উত্তুরে হাওয়ায় ধুন্ধুমার ছক্কা শীতের

কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল গোকুলচন্দ্র দেবনাথ জানান, আজ, শনিবারেও পশ্চিমাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা থাকছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:৩৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের পুরুলিয়া থেকে উত্তরের কোচবিহার— কনকনে ঠান্ডা হাওয়ায় ভর দিয়ে শীতের ধুন্ধুমার ব্যাটিং চলছে। উত্তুরে হাওয়ায় কে কত দ্রুত রান তুলতে পারে, যেন প্রতিযোগিতায় নেমেছে বিভিন্ন জেলা! পশ্চিমের জেলাগুলিতে শুক্রবার শৈত্যপ্রবাহ বয়েছে। ঘন কুয়াশার জন্য তরাই-ডুয়ার্সে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রয়েছে ১৪-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। খাস কলকাতায় শীত পড়লেও শৈত্যপ্রবাহ নেই।

Advertisement

কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল গোকুলচন্দ্র দেবনাথ জানান, আজ, শনিবারেও পশ্চিমাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা থাকছে। কলকাতায় সেই সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়েছে, তবে আজও শীত থাকবে। উত্তরবঙ্গের লাগোয়া বাংলাদেশে একটি ঘূর্ণাবর্ত থাকায় জলীয় বাষ্প ঢুকছে এবং তা ঘনীভূত হয়ে ঘন কুয়াশা তৈরি করছে। তার জেরেই দিনের তাপমাত্রা বাড়ছে না।

আবহাওয়া দফতরের খবর, শ্রীনিকেতনে এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬.৯ ডিগ্রি, স্বাভাবিকের থেকে ছয় ডিগ্রি কম। এ বার জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়াতেও। সেখানে রাতের তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে যথাক্রমে ৭.৪ এবং আট ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানেও কনকনে ঠান্ডা। কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ১১.৬ ডিগ্রিতে। ব্যারাকপুরে ১০.৪ ডিগ্রিতে। মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুরেও জাঁকিয়ে বসেছে শীত। শিলিগুড়ির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ৯.৫ ডিগ্রিতে।

Advertisement

আরও পড়ুন: অরূপের দায়িত্ব কমল, ভার কমল শুভেন্দুর

মৌসম ভবন জানায়, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ডে শীতের দাপট চলছে। রয়েছে শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতাও। রাঁচীতে রাতের তাপমাত্রা ৬.৪ এবং গয়ায় ৫.৪ ডিগ্রিতে নেমেছে। ঝাড়খণ্ডের ডালটনগঞ্জ, জামশেদপুর, বিহারের পূর্ণিয়াতেও হাড় কাঁপাচ্ছে শীত। দেশের সমতল এলাকার মধ্যে এ দিন পারদ সব থেকে নীচে ছিল উত্তরপ্রদেশের চুর্কে (৩.২ ডিগ্রি)।

আরও পড়ুন: অনুমতিতে বাধা, তবে মিছিলে অনড় বিজেপি

বড়দিনের আগেই শীত-সান্তার এমন দাক্ষিণ্যে খুশি বাঙালি। সপ্তাহান্তে চড়ুইভাতির পরিকল্পনাও করছেন অনেকে। শীতের দাপটে বিকিকিনি বেড়েছে শীতবস্ত্রের। কিন্তু আবহবিদদের অনেকেই বলছেন, গাঙ্গেয় বঙ্গে টানা শীত চলে না। এক দফা শীতের পরে কিছু দিন ধরে পারদ ফের চড়তে থাকে। সেই আশঙ্কা থেকেই অনেকের প্রশ্ন, বড়দিনের সময় শীত ফের কৃপণ হবে না তো?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement