Sangrami Joutha Mancha

ডিএ-র দাবিতে এ বার নবান্নের সামনে ধর্না, ঘোষণা যৌথ মঞ্চের, ডাক মহামিছিলেরও

সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, আগামী ১৯ ডিসেম্বর থেকে তাঁরা রাজ্য সরকারের সদর দফতর নবান্নের সমানে ধর্না কর্মসূচি শুরু করবেন। সেই কর্মসূচি চলবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:১৩
Share:

ডিএ-র দাবিতে নবান্নের সামনেই ধর্না কর্মসূচি ঘোষণা সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের। ফাইল চিত্র।

মহার্ঘ ভাতা (ডিএ)-র দাবিতে এ বার সুর চড়াল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। রবিবার শহিদ মিনারের অবস্থান মঞ্চ থেকে এক গুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করলেন মঞ্চের নেতারা। সেই কর্মসূচিতে যেমন নবান্নের সামনে ধর্নার কর্মসূচির কথা জানানো হয়েছে, তেমনই ঘোষণা করা হয়েছে মহামিছিলেরও। তবে সেই মিছিল হবে ২০২৪-এর জানুয়ারি মাসে।

Advertisement

সাংবাদিক বৈঠক করে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, আগামী ১৯ ডিসেম্বর থেকে তাঁরা রাজ্য সরকারের সদর দফতর নবান্নের সমানে ধর্না কর্মসূচি শুরু করবেন। সেই কর্মসূচি চলবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা। তবে নবান্নের সামনে ধর্না কর্মসূচি করার অনুমতি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চকে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে রয়েছে বড়সড় প্রশ্ন।

প্রশাসনিক অনুমতির তোয়াক্কা না করেই কার্যত ধর্না কর্মসূচির ঘোষণা করেছে মঞ্চ। পাশাপাশি, ডিএ-র দাবিতেই জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে কলকাতায় মহামিছিলের আয়োজন করা হবে। সেই মিছিলে যোগদানের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থী ও চাকরিজীবী মঞ্চের নেতৃত্বকে। ওই দিন হাওড়া, শিয়ালদহ ও হাজরা থেকে তিনটি মিছিল মিলিত হবে কলকাতার শহিদ মিনারে। তার পর সেখানে আয়োজিত হবে এক প্রতিবাদ সভা। এর পর জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে ধর্মঘট কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। তিন দিন অর্থাৎ ৭২ ঘণ্টা ধরে এই কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন মঞ্চের নেতারা। তাঁরা ঘোষণা করেছেন, ওই তিন দিন সরকারি অফিস, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করবেন সরকারি কর্মচারীরা।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত ২৩ নভেম্বর বিধানসভার অধিবেশনে ডিএ সংক্রান্ত বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য ডিএ বাধ্যতামূলক নয়। ওটা ঐচ্ছিক বিষয়। সরকারি কর্মচারী ও সাধারণ মানুষের বেতন এক নয়।’’ এ রাজ্যের সরকারি কর্মীরা কেন্দ্রের থেকে বেশি ছুটি পান বলেও জানান মমতা। তিনি আরও বলেছিলেন, ‘‘ডিএ নিয়ে আমরা সহানুভূতিশীল। এ নিয়ে প্রতিবাদ ঠিক নয়। কারও আপত্তি থাকলে কেন্দ্রীয় সরকারে গিয়ে যোগদান করুন। ক্ষমতায় আসার পর থেকে বামেদের থেকে বেশি ডিএ দিই। তার পরেও সাধ্য মতো দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’’

ডিএ নিয়ে আগের বাম সরকারকে খোঁচা দিয়ে মমতা বলেছিলেন, ‘‘বাম সরকার কত ডিএ দিত? ওরা অনেক দেনা করে গিয়েছে। আমরা ২.৫৭ গুণ বেতন বৃদ্ধি করেছি। ষষ্ঠ বেতন কমিশনকে মান্যতা দিয়েছি। নতুন করে ৬ শতাংশ ডিএ দিচ্ছি।’’ কেন্দ্রীয় সরকারের হারে ডিএ না দিলেও রাজ্য বেশি ছুটি দেয় বলে দাবি করেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘ওরা বেশি ছুটি দেয় না। আমরা প্রায় ৪০ দিন ছুটি দিই।’’ মুখ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে তাঁরা ডিএ-র আশ্বাস পাননি। তাই বাধ্য হয়েই লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা করেছেন বলেই জানিয়েছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন