মঙ্গলবার ভোরে ঘুমটাই ভাঙল গুলিগোলা আর মৃত্যুর খবরে। ঢাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই নিরাপত্তাবাহিনীর, অবশেষে ৯ জঙ্গির মৃত্যু, এই খবরের রেশ কাটতে না কাটতেই খবর এসে পৌঁছল জাপান থেকে। ছুরি হাতে ঘাতক খুন করেছে ১৯ প্রতিবন্ধীকে! পর পর সারাটা দিন ধরে শুধু রক্ত আর খুনেরই খবর। কাশ্মীরে জঙ্গিদের সঙ্গে সেনার সংঘর্ষ। ফ্রান্সে গির্জায় পণবন্দি করেছে দুষ্কৃতীরা, যাজককে খুন করেছে। সোমালিয়ায় বিস্ফোরণ, বার্লিনে হাসপাতালে গুলি। মৃত্যু, শুধু মৃত্যুরই খবর মঙ্গলবার সারাটা দিন ধরে।
এত মৃত্যু, এত হানাহানি, এত রক্ত, এত ধ্বংসের এই ছবি দিশেহারা করে দিচ্ছে পোড়খাওয়া সাংবাদিককেও। চারিদিকে শুধুই নেতির এই উন্মত্ত নৃত্য, প্রেতের উল্লাস দম বন্ধ করে আনছে। খবরের বৃহত্তম প্রাঙ্গণে হোক অথবা দৈনন্দিন অঙ্গনে, সর্বত্রই ইতির সন্ধান করছি এখন। ক্ষুদ্র হতে পারে, ইতি থাকুক সেখানে।
তখনই এক ঝলক তাজা হাওয়া এনে দিল একটা ছবি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল। যাবতীয় ধ্বংসের বিপ্রতীপে যেন এক কোমল সুধা, ভালবাসার বিজয়কেতন। লোলচর্ম দুই নগ্ন শরীর পরস্পরকে জড়িয়ে রয়েছেন, সৌন্দর্যের যাবতীয় সংজ্ঞাকে নতুন করে রচনার জন্যই যেন।
এত ধ্বংসের মধ্যে সুন্দরের এই রূপ সব নেতি পেরিয়ে ইতির পথে যাত্রার দিশাকেই নিশ্চিত করল। এই পথেই এগোবে জীবন। এগোতে বাধ্য। ইতিহাসের নানা বাঁকে মানুষ তা প্রমাণ করেছে। এ বারও করবে। এর অন্যথা সম্ভব নয়।