প্রতীকী ছবি।
জ্বরে ভুগে মৃত্যুতে ছেদ পড়ল না শনি-রবিবারও। বসিরহাট-দেগঙ্গায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।
বসিরহাটের পশ্চিম দন্ডিরহাটের কল্পনা ঘোষের (৪৭)। চিকিৎসা চলছিল কলকাতার একটি নার্সিংহোমে। শনিবার সেখানেই মারা যান তিনি। কল্পনাদেবীর এক আত্মীয় কমল ঘোষ জানান, ১২ অক্টোবর জ্বর এসেছিল। রাতে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাতে অবস্থার অবনতি হতে পারে, এই আশঙ্কায় কল্পনাদেবীকে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে পাঠানো হয় কলকাতায়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। দেগঙ্গার সোহায় শ্বেতপুর পঞ্চায়েতের খাঁপুর গ্রামের বাসিন্দা কাবিদুল ইসলাম (৩৯) শনিবার রাতে বারাসত জেলা হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। পেশায় রাজমিস্ত্রি কাবিদুলের জ্বর আসে মঙ্গলবার। বিশ্বনাথপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে ম্যালেরিয়ার পরীক্ষা হয়। শুক্রবার পেট ফুলে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় কাবিদুলের। ঘাম ঝরছিল। ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডেঙ্গির রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা হয় তাঁর। পরে পাঠানো হয় বারাসত জেলা হাসপাতালে। শনিবার আইসিসিইউতে মারা যান তিনি।
মৃত্যুর কারণ হিসাবে ‘সেপ্টিসেমিয়া’ লেখা হয়েছেন। স্ত্রী রোজিনা বিবি বলেন, ‘‘ডেঙ্গির রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টই পেলাম না। তার আগেই বলে দিল অন্য কারণে মৃত্যু।’’ কাবিদুলের মতোই উপসর্গ ছিল বেড়াচাঁপা ১ পঞ্চায়েতের বেলপুর গ্রামের বেবি বিবির (৩২)। দিন চারেক ধরে জ্বর নামছিল না। শুক্রবার পেট ফুলে হাঁটাচলা বন্ধ হয়ে যায়। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। বারাসত জেলা হাসপাতালে আইসিসিইউতে রেখে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। রাতে অবস্থার অবনতি হওয়ায় আরজিকরে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে সাধারণ বেডে রেখেই চিকিৎসা চলছিল। রবিবার মারা যান বেবি। তাঁর দাদা তরিকুল বলেন, ‘‘কলকাতার হাসপাতালে কিছুই চিকিৎসা পেল না বোন। বেডে পড়ে থেকে থেকে মারা গেল।’’
চিকিৎসকদের একাংশের পর্যবেক্ষণ, কিছু ক্ষেত্রে ইদানীং জ্বরের সঙ্গে পেট ফুলে যাওয়া, পেটে ব্যথা, ঘাম ঝরার মতো উপসর্গও জুড়ছে। কী ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যাবে, তা চিন্তায় ফেলেছে স্বাস্থ্যকর্তাদেরও।