West Bengal Weather Update

ঝেঁপে বৃষ্টি কলকাতায়, সঙ্গে বজ্রপাত! কালবৈশাখীর দাপটে হুগলিতে শিলাবৃষ্টি, ভাঙল গাছও

হুগলিতে দুপুরের পর থেকেই ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। চলছে শিলাবৃষ্টি। মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে মেদিনীপুরে। কলকাতাতেও আকাশ কালো করে ঝেঁপে বৃষ্টি নেমেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:৩১
Share:

কলকাতার আকাশে বিকেলের মুখে কালো মেঘের ঘনঘটা। —নিজস্ব চিত্র।

অনেক দিন ধরেই ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তার অনুকূল পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু গরমের অস্বস্তির মাঝে ঝড় বা বৃষ্টির স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে কালো করে এল আকাশ। ঝেঁপে বৃষ্টি নামল হুগলি, মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অংশে। বিকেল পর্যন্ত কলকাতায় বৃষ্টি না হলেও আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা ছিল। বৃষ্টি নামে সন্ধ্যার মুখে।

Advertisement

হুগলিতে দুপুরের পর থেকেই ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। চলছে শিলাবৃষ্টি। চন্দননগরের বাগবাজার কুঠির মাঠ এলাকায় কালবৈশাখীর দাপটে ভেঙে পড়েছে আস্ত একটি রাধাচূড়া গাছ। উপড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। তার ফলে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাতায়াত ব্যাহত হয়েছে। বৃষ্টির কারণে হুগলিতে খেলাও ভেস্তে গিয়েছে। মেদিনীপুর শহরেও তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়েছে বিকেল থেকে। সঙ্গে রয়েছে বজ্রপাতের চোখরাঙানি।

উত্তর ২৪ পরগনা এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের জন্য লাল সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বিকেল পৌনে ৫টার বুলেটিনে তারা জানিয়েছে, এই দুই জেলায় শিলাবৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। এ ছাড়া, বৃহস্পতিবার ৬০ কিমি পর্যন্ত ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া এবং নদিয়ায়। কলকাতা-সহ বাকি জেলাগুলিতেও ঝড়বৃষ্টি হবে। হাওয়ার বেগ তুলনামূলক কম থাকবে। শুক্রবার একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দুই বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর এবং হাওড়ায় ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার বৃষ্টি হতে পারে।

Advertisement

উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি এবং ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই সতর্কতা রয়েছে মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুরে। শুক্রবারও উত্তরবঙ্গে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে।

পূর্ব মধ্যপ্রদেশ থেকে দক্ষিণ অসম পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা বিস্তৃত। এ ছাড়া, বিহার এবং সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। এর ফলে বঙ্গোপসাগরের দিক থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকছে বাংলার স্থলভাগে। তার ফলেই ঝড়বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement