শীতলাকে মানত করে প্রধান! স্কুলে পুজো তৃণমূলের

রবিবার থেকে মশাগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে পুজো। চলবে সোমবার পর্যন্ত।

Advertisement

দেবমাল্য বাগচী

সবং শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:৪৭
Share:

আয়োজন: মশাগ্রামে পুজোর প্রস্তুতি। ছবি: দেবরাজ ঘোষ।

স্কুল চত্বরেই শীতলা পুজো। উদ্যোক্তা তৃণমূলের বুথ কমিটি।

Advertisement

বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে পছন্দের মানুষ পঞ্চায়েত প্রধান হয়েছেন। তাই শীতলার কাছে করা মানত রক্ষায় পুজোর আয়োজন করেছে সবংয়ের মশাগ্রামের তৃণমূল বুথ কমিটি। রবিবার থেকে মশাগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে পুজো। চলবে সোমবার পর্যন্ত। আটচালার মণ্ডপে ঝুলছে দলের ব্যানার। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারীদের ছবি। পুজোর আমন্ত্রণপত্রেও মমতার ছবি ও জোড়াফুল প্রতীক। উদ্যোক্তারা জানালেন, পুজোর বাজেট প্রায় এক লক্ষ টাকা। যাবতীয় আচার মেনেই চলছে পুজো। ভোগে থাকছে অন্ন আর মাছ। সোমবার দুপুরে পাত পেড়ে সেই প্রসাদ খাওয়ার কথা প্রায় দু’হাজার গ্রামবাসীর।

মশাগ্রাম বুথটি দশগ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। গত নির্বাচনে এখানে প্রধান পদ ঘিরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছিল। ১৩টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল ৯টি, নির্দল ৩টি আর সিপিএম একটি আসন পেয়েছিল। জেলা কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতির অনুগামীরা সানাউদ্দিন দিলবর মীরকে প্রধান পদপ্রার্থী বলে দাবি করেছিলেন। আর সাংসদ মানস ভুঁইয়ার অনুগামীরা অনিল সাঁতরাকে প্রধান পদে চাইছিলেন। বোর্ড গঠনের দিন সানাউদ্দিনরা গরহাজির থাকায় দু’জন নির্দল ও একজন সিপিএম-সহ ৮জনের সমর্থনে প্রধান হন অনিল। তাঁকে প্রধান পদে দেখতেই মানত করেছিলেন মশাগ্রাম তৃণমূলের বুথ সভাপতি গোকুল মাইতি। প্রধান নির্বাচন শেষ। সেই উপলক্ষে পুজো হচ্ছে। তবুও বিরোধ মেটেনি। পুজোয় ডাক পাননি বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা-কর্মীরা। অমূল্য বলেন, “কেউ পুজো করতেই পারেন। তবে দলের ব্যানারে এমন পুজো আমার কাছে অভিনব।” আর মানস বলছেন, ‘‘ঈশ্বরের কাছে কেউ মানত করতেই পারে। সেটা রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও হতে পারে। দেখতে হবে সেখানে যেন ধর্মান্ধতা না থাকে।’’ তৃণমূলের এই চাপানউতোরের সুযোগে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। জেলা বিজেপির সভাপতি শমিত দাস বলেন, ‘‘করে খাওয়ার পথ সুগম করতে তৃণমূল এই পুজো করছে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: ২৮ বছর নিখোঁজ, বাবা ফিরলেন শ্রাদ্ধের ঠিক আগে

কিন্তু আজ, সোমবার স্কুল হবে কী ভাবে? ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ডলি দাস ভৌমিক বলেন, “ওঁরা বলেছেন মাইক বন্ধ রাখবেন।” যাঁর জন্য এত আয়োজন সেই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বেজায় খুশি। অনিল বলেন, “আমি ৮ বারের পঞ্চায়েত সদস্য। গত বার উপ-প্রধান হওয়ার সময় এই মশাগ্রাম থেকে মিছিল করে নিয়ে গিয়েছিল। এ বার আমাকে প্রধান করতে মানত রেখেছিল। দলের উদ্যোগে এমন পুজো হলে ক্ষতি তো কিছু নেই।”

আরও পড়ুন: মহিলাদের নিয়ে গাড়ি ছোটালেন ‘মত্ত’ শাট্‌লের চালক

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন