Sisir Adhikari

শিশিরের ‘সম্পত্তি বৃদ্ধি’ নিয়ে মোদী-শাহকে চিঠি কুণালের, সারদা-তদন্তের আর্জি কেন্দ্রীয় সংস্থাকেও

কুণাল ঘোষের দাবি, ২০০৯ সালে সাংসদ হিসেবে শিশির অধিকারীর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১০ লক্ষ টাকা। ২০১২ সালে তিনি যখন মন্ত্রী হচ্ছেন তখন শিশিরের সম্পত্তির পরিমাণ দেখানো হয় ১০ কোটি টাকা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:০৮
Share:

কুণাল ঘোষ এবং শিশির অধিকারী। —ফাইল চিত্র।

এ বার কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর ‘সম্পত্তি বৃদ্ধি’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। ওই চিঠি তিনি পাঠিয়েছেন ইডি এবং সিবিআইকেও। যদিও এ নিয়ে শিশিরের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

Advertisement

উল্লেখ্য, খাতায়কলমে শিশির এখনও তৃণমূলের সাংসদ। পাশাপাশি, তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা। সমাজমাধ্যমে কুণাল জানান, ২০০৯ সালে সাংসদ হিসাবে শিশির অধিকারীর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১০ লক্ষ টাকা। ২০১১ সালে সেই সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে হয় ১৬ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ২০১২ সালে তিনি যখন মন্ত্রী হচ্ছেন তখন প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে দেওয়া তাঁর আর্থিক সম্পত্তির পরিমাণ দেখানো হয় ১০ কোটি টাকা। এক বছরের মধ্যে সাংসদের সম্পত্তির পরিমাণ ১৬ লক্ষ থেকে বেড়ে কী ভাবে ১০ কোটি টাকা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কুণাল।

এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) কুণাল লেখেন, ‘‘সারদা মালিক নিজে অভিযোগ করেছেন যে ২০১১-’১২ সালে তাঁকে কাঁথির অধিকারীরা ব্ল্যাকমেল করেছিলেন এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হয়েছিল তাঁকে। এবং একই সময়ে সাংসদ শিশির অধিকারীর সম্পদের পরিমাণ ছিল ১০ কোটি টাকা। তাই, আমি প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, সিবিআই এবং ইডির ডিরেক্টরকে চিঠি লিখেছি। এই বিষয়টি সারদা কেলেঙ্কারি মামলার অধীনে তদন্তের দাবি জানিয়েছি।’’

Advertisement

তৃণমূল নেতার প্রশ্ন নির্বাচন কমিশন বা প্রধানমন্ত্রী দফতরে যে তথ্য শিশির দিয়েছেন তা কি ভুল? কুণালের কথায়, ‘‘২০০৯ সালে শিশিরবাবু নির্বাচন কমিশনে হলফনামা দেন তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১০ লক্ষ ৮৩ হাজার ১৫৯ টাকা। তার পরে ২০১১ সালে উনি প্রধানমন্ত্রীকে যে হিসেব দিচ্ছেন, সেখানে দেখা গেল সম্পত্তির পরিমাণ ১৫ লক্ষ ৯৬ হাজার ৩০৬ টাকা। ২০১২ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের সম্পত্তির যে তালিকা তাতে শিশিরবাবুর সম্পত্তির পরিমাণ ১০ কোটি ৩৪ লাখ ৪৯ হাজার ৫০০ টাকা। অর্থাৎ, এক বছরের ১০ কোটি টাকা বেড়েছে। এটা কোন ম্যাজিকে হয়? এই টাকা কোথা থেকে এল?’’ কুণালের অভিযোগ, সারদা দুর্নীতির টাকা ‘অধিকারীদের কোষাগারে’ রয়েছে কি না, তার তদন্ত জরুরি।

এর আগে কুণালের এই অভিযোগের কোনও জবাব দেননি শিশির। কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘জেলখাটা আসামির কোনও প্রশ্নের জবাব দেব না।’’ পাল্টা কুণাল দাবি করেছেন, নিজেকে স্বচ্ছ প্রমাণ করুণ শিশির।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন