KMC

পুর আসন সংরক্ষণে খসড়া তালিকাই ‘চূড়ান্ত’

প্রশাসনিক সূত্রে যে আভাস মিলেছে, তাতে সংরক্ষণের ‘কোপে’ অন্তত ২১ জন বর্তমান কাউন্সিলর এ বার আর নিজেদের ওয়ার্ডে প্রার্থী হতে পারবেন না।

Advertisement

অনুপ চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২০ ০২:১৮
Share:

সংরক্ষের কোপে পড়তে পারেন বহু হেভিয়েট নেতা। গ্রাফিক: সৌভিক দেবনাথ।

ওয়ার্ড সংরক্ষণের তালিকা প্রকাশের ২৪ ঘণ্টা আগে থেকেই রক্তচাপ বাড়তে শুরু করেছে কলকাতার তৃণমূল কাউন্সিলরদের। কলকাতা পুরভোটের কোন কোন ওয়ার্ড তফসিলি এবং মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হবে আজ শুক্রবার তার খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন এর দায়িত্বপ্রাপ্ত। সরকারি সূত্রের খবর, রাজ্য নিবার্চন কমিশনের নিয়ম মেনে তৈরি ওই খসড়া তালিকাই চূড়ান্ত হতে পারে। সে কারণেই কোন কোন কাউন্সিলরকে সংরক্ষণের কোপে নিজের জেতা ওয়ার্ড থেকে সরতে হতে পারে তা, নিয়ে তুমুল জল্পনা চলছে পুরমহলে।

Advertisement

প্রশাসনিক সূত্রে যে আভাস মিলেছে, তাতে সংরক্ষণের ‘কোপে’ অন্তত ২১ জন বর্তমান কাউন্সিলর এ বার আর নিজেদের ওয়ার্ডে প্রার্থী হতে পারবেন না। তার মধ্যে রয়েছেন মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, রতন দে, দেবব্রত মজুমদার এবং বরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষ (স্বরুপ) ও ইন্দ্রজিৎ ভট্টাচার্য। সরকারি সূত্রে খবর, এ বার ৩, ৬, ৯ ক্রমান্বয়ে মহিলা সংরক্ষণ করা হচ্ছে। তবে সেই ক্রমান্বয়ের মাঝে ঢুকবে তফসিলি সংরক্ষণের ওয়ার্ডও। এ বার ৮টি ওয়ার্ড তফসিলি সংরক্ষণের তালিকা থাকবে। তার সম্ভাব্য তালিকা হতে পারে ৩৩, ৫৮, ৭৮, ১০৭, ১১০, ১২৭, ১৪১ এবং ১৪২। এর মধ্যে ৩৩,৭৮ এবং ১২৭ মহিলা তফসিলি হিসেবে সংরক্ষিত হতে পারে।

সম্প্রতি প্রশান্ত কিশোরকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতা পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরদের এক বৈঠক করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে অভিষেক পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন, আগামী কলকাতা পুরভোটের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে জনগণের কাছে স্থানীয় কাউন্সিলরের ভাবমূর্তি কেমন, তা সমীক্ষা করে

Advertisement

দেখে নেওয়া হচ্ছে। তাই শুধু সংরক্ষণের কোপই নয়, ‘ভাবমূর্তি’ দেখে প্রার্থী বাছাইয়ে দলীয় নেতৃত্বের নিদান নিয়েও চিন্তা বাড়ছে কারও কারও। সংরক্ষণের কোপে না পড়েও স্বচ্ছ ভাবমূর্তি না থাকার কারণে

কয়েক জন কাউন্সিলর এ বার প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারেন বলেও জানা গিয়েছে।

রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, ১৭ জানুয়ারি সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ হচ্ছে। সে দিন থেকে ১৪ দিন সময় দেওয়া হবে তা নিয়ে কোনও অভিযোগ শোনার। তার পরে অভিযোগের সত্যতা যাচাই হবে। চূড়ান্তা তালিকা প্রকাশ হবে ১০ ফেব্রুয়ারি। আরও জানানো হয়েছে খসড়া তালিকা প্রকাশের ১০ সপ্তাহ অর্থাৎ ৭০ দিন পরে যে কোনও সময় ভোট গ্রহণ করা যাবে। সে ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে বর্তমান পুরবোর্ড ৫ বছর আগে কোন দিনে পুরসভার প্রথম সাধারণ সভা সম্পন্ন করেছিল। সে দিনের আগেই ভোটের কাজ শেষ করতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন