FIFA World Cup 2022

কাতারে কাতারে নেতা কাতারে! ফাইনালের মাঠে তৃণমূলের তাপস-সমীর, ঘরে ফিরেছেন মদন

বিশ্বকাপ দেখতে কলকাতা থেকে গত এক মাস যাবৎ আরবের এই ক্ষুদ্রতম দেশে কলকাতা থেকে পাড়ি দিয়েছেন ৯ হাজারের বেশি মানুষ। আর সেই ভিড়ে মিশে গিয়েছিলেন বাংলার শাসকদল তৃণমূলের নেতারাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:৪৬
Share:

বিশ্বকাপ দেখতে গিয়েছিলেন রাজারহাট গোপালপুরের বিধায়ক অদিতি মুন্সী এবং তাঁর স্বামী বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।

রবিবার ফুটবল বিশ্বকাপের বিজয়া দশমী। কাতারের লুইসায়েল স্টেডিয়ামে ফ্রান্স বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচ দিয়ে শেষ হবে এ বারের ফুটবল বিশ্বকাপ। সেই বিশ্বকাপ দেখতে কলকাতা থেকে গত এক মাস যাবৎ আরবের এই ক্ষুদ্রতম দেশে কলকাতা থেকে পাড়ি দিয়েছেন ৯ হাজারের বেশি মানুষ। আর সেই ভিড়ে মিশে গিয়েছিলেন বাংলার শাসকদল তৃণমূলের নেতারাও। গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচ থেকে শুরু করে ফাইনাল, সবেতেই সপ্রতিভ উপস্থিতি ছিল তাঁদের।

Advertisement

রবিবারের ফাইনাল ম্যাচও দেখতে গিয়েছেন শাসকদলের নেতারা। বরাহনগরের বর্ষীয়ান বিধায়ক তাপস রায়ের ফুটবল অনুরাগের কথা রাজ্য রাজনীতিতে কারও অজানা নয়। ‘ঘটি’ হয়েও তিনি ব্যতিক্রমী চরিত্র হিসাবে ‘বাঙাল’-দের ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ৪ দশকেরও বেশি সময়। বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে দোহা গিয়েছেন তাপস। স্টেডিয়ামে ফাইনাল দেখতে যাওয়ার আগে কাতার থেকে তাপস জানালেন, দোহায় আর্জেন্টিনা ও মেসির ভক্তে ভরে গিয়েছে। উন্মাদনা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে এটা দোহা না বুয়েনার্স আয়রেস বোঝার উপায় নেই।

তাপস ছাড়াও তৃণমূলের আরও এক প্রাক্তন বিধায়ক গিয়েছেন ফাইনাল দেখতে। তিনি তৃণমূল মুখপাত্র সমীর চক্রবর্তী। আর্জেন্টিনা ও মেসির ভক্ত তৃণমূল বিধায়ক অদিতি মুন্সী ও তাঁর স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তী গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচ দেখতেও দোহা গিয়েছিলেন। অদিতি যেমন রাজারহাট-গোপালপুরের তৃণমূল বিধায়ক। দেবরাজ আবার বিধাননগরের কাউন্সিলর ও মেয়র পারিষদ।

Advertisement

তৃণমূল নেতাদের মধ্যে বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়ার সূচনা করেছিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি তাঁর পুত্র সমুদ্র বসুকে নিয়ে দোহা গিয়ে একই দিনে ২টি ম্যাচ দেখেছিলেন। ব্যক্তিগত হিসাবে খেলোয়াড় রোনাল্ডো ও দল হিসাবে ব্রাজিলের খেলার দেখতে আগ্রহী ছিলেন সুজিত ও তাঁর পুত্র। তাই পর্তুগাল বনাম ঘানা ও ব্রাজিল বনাম সার্বিয়ার ম্যাচ দেখে এসেছেন তাঁরা। ওই ম্যাচগুলিকে রোনাল্ডোকে যেমন গোল করতে দেখেছেন। তেমনই আবার ব্রাজিলের শৈল্পিক ফুটবল দেখে মুগ্ধ হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন সুজিত। তাঁর কথায়, ‘‘ফুটবল বিশ্বকাপ তো নয় যেন এক মহোৎসব। পর্তুগাল বনাম ঘানা ম্যাচে ঘানা পরাজিত হল। কিন্তু স্টেডিয়ামের বাইরে বেরিয়ে দেখলাম, ঘানার সমর্থকরা ড্রাম বাজিয়ে আনন্দ করছেন। দেশের বিশ্ব খেলতে আসার আনন্দে।’’

শাসকদলের নেতাদের মধ্যে সবার আগে বিশ্বকাপ ফুটবল দেখতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র। তিনি প্রথমে বিশ্বকাপের উদ্বোধন দেখা থেকে শুরু করে ফুটবল ম্যাচ দেখার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। কিন্তু বিধানসভার অধিবেশন শুরু হয়ে যাওয়ার তাঁর পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। কিন্তু তৃণমূল পরিষদীয় দলের অনুমতি নিয়ে কয়েক দিন বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিয়ে মদন দোহা গিয়েছিলেন। সেখানেই ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা ছাড়াও বেশ কিছু ম্যাচ দেখে এসেছিলেন তিনি। শ্বশুরমশাইয়ের সঙ্গেই বিশ্বকাপ দেখতে গিয়েছিলেন তাঁর পুত্রবধূ তথা কামারহাটি পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর মেঘনা মিত্রও। ফাইনাল দেখতে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও, ব্যস্ততার জন্য আর কাতার যেতে পারেননি কামারহাটির বিধায়ক মদন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন