কারা-পরিদর্শকের পদে বাদ দলবদলুরা

বিভিন্ন জেলার জেলে ‘নন-অফিসিয়াল ভিজিটর্স’ বা অসরকারি পরিদর্শক কমিটি আছে।

Advertisement

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:১৬
Share:

কারা পরিদর্শকের তালিকা থেকে বাদ পড়লেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া অর্জুন সিংহ-সহ কয়েক জন। —ফাইল চিত্র।

দল বদলের খেলায় অন্যদের পিছনে ফেলে দিয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনা। তার প্রভাব পড়ল কারা দফতরেও। পরিদর্শকের তালিকা থেকে বাদ পড়লেন দলবদলুরা। সেই তালিকায় রয়েছেন সব্যসাচী দত্ত, অর্জুন সিংহ, বিশ্বজিৎ দাসেরা। ঘটনাচক্রে, ওই তিন নেতা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন জেলের অসরকারি পরিদর্শক তালিকা তিন জনেই থেকে বাদ পড়ছেন।

Advertisement

বিভিন্ন জেলার জেলে ‘নন-অফিসিয়াল ভিজিটর্স’ বা অসরকারি পরিদর্শক কমিটি আছে। তাতে থাকেন বিধানসভার সদস্য ও জনপ্রতিনিধিরা। এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিন থেকে এক বছর পর্যন্ত এই পরিদর্শক কমিটির মেয়াদ। কয়েক দিন আগে কারা দফতরের তরফে উত্তর ২৪ পরগনার জেলগুলির অসরকারি পরিদর্শক সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। উত্তর ২৪ পরগনায় চারটি জেল। প্রতিটিতে তিন জন অসরকারি পরিদর্শক আছেন। সাধারণত, জেলের অন্দরের পরিবেশ পরিস্থিতি দেখে প্রয়োজন অনুযায়ী জেলকর্তাদের পরামর্শ দেন অসরকারি পরিদর্শকেরা।

দমদম জেলের পরিদর্শক হিসেবে ছিলেন রাজারহাট-নিউ টাউনের বিধায়ক সব্যসাচী। তাঁকে সরিয়ে সেখানে আনা হয়েছে রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর করকে। দমদম জেলের পরিদর্শক হিসেবে ছিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তাঁর বদলে এসেছেন নিতাই দত্ত। যিনি বিধাননগরের রাজনীতিতে সুজিত-ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।

Advertisement

আরও পড়ুন: আগুন জ্বালাচ্ছেন অমিত শাহ, অভিযোগ মমতার

ব্যারাকপুর বিশেষ জেলেও একটি পরিবর্তন হয়েছে। ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহের বদলে সেখানে আনা হয়েছে পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষকে। বাকি দু’জন পরিদর্শক হলেন শীলভদ্র দত্ত ও পার্থ ভৌমিক। বনগাঁ মহকুমা জেলের ক্ষেত্রে বনগাঁ দক্ষিণ ও গাইঘাটার বিধায়কের সঙ্গে ছিলেন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। তাঁর পরিবর্তে পরিদর্শক করা হয়েছে গোপাল শেঠকে।

শাসক দল ছেড়ে বিরোধী দলে নাম লেখানোর জন্যই কি এই জনপ্রতিনিধিদের বদল করা হল? কারা দফতরের কর্তারা বলছেন, ‘‘কমিটির বদল হয় প্রয়োজন অনুযায়ী। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। রাজনীতি থাকলে সুজিত বসুকেও পরিবর্তন করা হত না।’’ তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, এই ধরনের কমিটি বরাবরই শাসক দলের নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। তবে সুজিত দমকলের মন্ত্রী, সেই সঙ্গে বন প্রতিমন্ত্রীও। দু’টি দফতর সামলে পরিদর্শক হিসেবে সময় বার করতে হয়তো সমস্যা হচ্ছিল। তাই এই পরিবর্তন বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অভিমত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন