তাঁর নতুন দল ঘোষণার আগে মুকুল রায়কে আরও ‘নিঃসঙ্গ’ করে দিতে তাঁর ঘনিষ্ঠ শিউলি সাহার উপর থেকে সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নিল তৃণমূল।
কেবল শিউলির উপরেই নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক হালদারের উপর থেকেও সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। দীপকবাবুও দলে মুকুল-ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত ছিলেন।
শনিবার তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দু’জনেই ক্ষমা চেয়ে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন। শুক্রবার তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি বৈঠকে বসে। সেখানেই সাসপেনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়।’’ ফকিরচাঁদ কলেজে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীতে গন্ডগোলের পরে দীপকবাবুকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল।
সারদা-কাণ্ডে মুকুলবাবুর নাম জড়ানোর পর থেকেই তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব সৃষ্টি হয়। শিউলি দলীয়-লাইনের বিরুদ্ধে গিয়ে সর্বত্র মুকুলবাবুর সফরসঙ্গী হচ্ছিলেন। তখনই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। বিধানসভায় আর এক মুকুল-ঘনিষ্ঠ সাসপেন্ড হওয়া বিধায়ক শীলভদ্র দত্তের সঙ্গে শিউলির বসার আসনও আলাদা করে দেওয়া হয়েছিল।
কয়েক মাস আগে ভুল স্বীকার করে শিউলি চিঠি দিয়েছিলেন মমতাকে। শনিবার তারই ভিত্তিতে তাঁর সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হয়। সাসপেনশন প্রত্যাহারের খবর জানার পরে শিউলি বলেন, ‘‘আমি খুশি। দলীয় নেতৃত্ব আমার আবেদন মেনে নিয়েছেন।’’
প্রশ্ন হচ্ছে, হঠাৎ কেন মমতা শিউলির সাসপেনশন প্রত্যাহার করলেন? তৃণমূল সূত্রে ব্যাখ্যা, হলদিয়ার এই বিধায়কের সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর যতই বিরোধ থাক, নতুন দল গঠনের আগে মুকুলের উপরে ‘চাপ’ সৃষ্টি করতেই তাঁর সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হল।
বিধানসভা ভোটের আর ছ’মাসও বাকি নেই। এই পরিস্থিতিতে যে ভাবে শিউলি ও দীপকবাবুর সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হল, তাতে আগামী দিনে দু’জনেই প্রার্থী হতে পারেন বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।