Mihir Goswami

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে মিহির গোস্বামী? নিশীথের সঙ্গে পৌঁছলেন দিল্লিতে

বিকেলে দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে একটি সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২০ ১৩:৪১
Share:

দিল্লিতে মিহির গোস্বামী। —নিজস্ব চিত্র

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন মিহির গোস্বামী? শুক্রবার সকালেই দিল্লিতে পৌঁছেছেন কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক। আজই বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর।

Advertisement

মিহিরের সঙ্গে দিল্লিতে রয়েছেন কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। বিকেলে দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন বলেও একটি সূত্রে জানা গিয়েছে।

দিল্লি থেকে টেলিফোনে আনন্দবাজার ডিজিটালকে নিশীথ বলেন, ‘‘তৃণমূল যে শেষ, সেটা আজ থেকে শুরু হল। উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু হয়েছে। শেষ হবে দক্ষিণবঙ্গে গিয়ে। তৃণমূল কংগ্রেসের যে নেতাকর্মীরা দলে থেকেও যোগ্য সম্মান পাচ্ছেন না, ভারতীয় জনতা পার্টির দরজা তাঁদের জন্য উন্মুক্ত। তাঁরা চাইলে বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন।’’

Advertisement

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্ট করেছিলেন মিহির। তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করেন ওই পোস্টে। তার পরের দিনই দিল্লি যাওয়ার পর তাঁর বিজেপিতে যোগদান ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তীব্র। একটি সূত্রে খবর, দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও তাঁর সাক্ষাৎ হওয়ার কথা।

আরও পড়ুন: রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফা

বেশ কিছু দিন ধরেই মিহির নিজের ক্ষোভ-অভিমানের কথা জানিয়ে আসছেন। বৃহস্পতিবারও ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, গত ১০ বছর ধরে তিনি দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে কাজ করেও যোগ্য সম্মান পাননি। দলে নিজের সমস্ত পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। কিন্তু সেই আর্জিতে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব গুরুত্ব দেয়নি বলে অভিযোগ তাঁর। তাঁর আরও অভিযোগ, দলীয় নেতৃত্ব তাঁর আর্জিতে গুরুত্ব না দিয়ে বরং প্রশ্রয় দিয়ে গিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতেই তিনি তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন বৃহস্পতিবার। তার পরেই শুক্রবার দিল্লি গেলেন তিনি।

আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত বিরোধী দলনেতা মান্নানের খোঁজ নিতে ফোন মমতার

তবে কয়েক দিন আগেই মিহিরের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মান ভাঙানোর চেষ্টা করেছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী বরীন্দ্রনাথ ঘোষ। কিন্তু তাতেও বরফ গলেনি। আর দিল্লি যাওয়ার খবর জানার পর রবীন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘একটা দলে কাজ করতে গিয়ে রাগ-অভিমান-ক্ষোভ থাকতেই পারে। ওঁর আর একটু ধৈর্য ধরা উচিত ছিল। প্রয়োজনে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আরও এক বার আলোচনা করতে পারতেন। এ ভাবে দল ত্যাগ করে চলে যাওয়া উচিত হয়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন