দু’বছর আগে সাম্বিয়া সোহরাব, এমনকি সলমন খানের সঙ্গেও একই পঙ্ক্তিতে উঠে এসেছিল তাঁর নাম! ২০১৬ সালে বিজন সেতুতে গাড়ি চালিয়ে এক ফুটপাতবাসীকে পিষে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তৃণমূলের ছাত্রনেতা সেই কণিষ্ক মজুমদারের নামই ফের উঠল পুলিশের খাতায়। এ বার তোলাবাজির অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছে কসবা থানা। কণিষ্ক বলছেন, ‘‘আইন সব কিছুর জবাব দেবে।’’
পুলিশ জানায়, বুধবার কণিষ্কের বিরুদ্ধে কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রাজীব মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ, রাজডাঙায় অভিনয় প্রশিক্ষণ স্কুল চালানোর জন্য তাঁকে ১০ লক্ষ টাকা দিতে হবে বলে দাবি করেন কণিষ্ক। টাকা না-দেওয়ায় হুমকি দেওয়া হয়। থানার দ্বারস্থ হন রাজীববাবু। তদন্তে নেমে কসবা এলাকা থেকে কণিষ্ক এবং তাঁর সহযোগী রোহিত দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালত কণিষ্ককে ছ’দিন পুলিশি হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
টিএমসিপি নেতারা জানান, ইদানীং তাঁদের সকলেই কণিষ্কের ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে চলছিলেন। বিভিন্ন অভিযোগের জেরে দলের প্রথম সারিতে তাঁকে আর সে-ভাবে দেখাও যায় না। তবে দক্ষিণ কলকাতার এক কাউন্সিলরের ছত্রচ্ছায়ায় তিনি যে এলাকা ‘গুছিয়ে’ নিয়েছেন, সেই গুঞ্জন শোনা যায় টিএমসিপি-র অন্দরেই। টিএমসিপি-র রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘কণিষ্ক নামের ওই যুবককে চিনি। তিনি টিএমসিপির কেউ নন।’’