আন্দোলনে কুড়মিরা। —ফাইল চিত্র।
জনজাতি তালিকাভুক্তির দাবিতে রেল ও পথ অবরোধের ডাক দিয়েছিল আদিবাসী কুড়মি সমাজ। শনিবার থেকে পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায় লাগাতার অবরোধ হওয়ার কথা ছিল। তবে কলকাতা হাই কোর্ট জানিয়ে দেয়, মানুষকে দুর্ভোগে ফেলে অবরোধ করা চলবে না। তার পরে অবরোধ রুখতে কড়া হয় পুলিশ ও রেল। ফলে, কুড়মিদের কর্মসূচির প্রভাব পড়েনি পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে। তবে ঝাড়খণ্ডে অবরোধ জেরে কিছু ট্রেন বাতিল হয়। তাতে দুর্ভোগে পড়লেন যাত্রীরা, যা অব্যাহত থাকল মহালয়াতেও।
এই ট্রেন বাতিলে সবচেয়ে প্রভাব পড়েছে খড়্গপুর-টাটানগর ও খড়্গপুর-আদ্রা শাখায়। খড়্গপুর-টাটানগর মেমু, রাউরকেলা-হাওড়া বন্দে ভারত, টাটানগর-পটনা বন্দে ভারত, হাওড়া-টাটানগর, আদ্রা-বারকাকানা মেমু, রাঁচী-আসানসোল মেমু-সহ ১২টি ট্রেন বাতিল হয়।
খড়্গপুরে রেলের এক আধিকারিক বলেন, “আমাদের ডিভিশনে কুড়মি সমাজের আন্দোলনের কোনও প্রভাব পড়েনি ঠিকই। তবে ঝাড়খণ্ড রাজ্যে অন্য ডিভিশনে এর প্রভাব পড়েছে। অনেক ট্রেন দাঁড়িয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। আগাম সতর্কতায় আমরা কয়েকটি ট্রেন বাতিল করেছি।’’ রবিবারও খড়্গপুর স্টেশনে বহু যাত্রী ট্রেনের অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসেছিলেন। বিকাশ যাদব নামে এক যাত্রী বলেন, “টাটানগরে থাকি। খড়্গপুরে আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিলাম। টাটানগর মেমু বাতিল হয়েছে। এখন শুনছি স্টিল, ইস্পাতের সময় পরিবর্তন করা হচ্ছে। জানি না কখন বাড়ি পৌঁছোব।”
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর ও ২০২৩ সালের এপ্রিলেও একই আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল কুড়মি সমাজ। তখন পাঁচ দিন ধরে চলেছিল অবরোধ। তাতে সমস্যায় পড়েছিলেন বহু মানুষ। তবে এ বার কড়া পদক্ষেপ করে রেল ও রাজ্য প্রশাসন। ফলে, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের কোথাও প্রভাব পড়েনি। দুই জেলায় বাস চলাচলও ছিল স্বাভাবিক। অথচ, ২০২৩ সালে সরডিহা, খেমাশুলি, মেদিনীপুর, কলাইকুণ্ডায় বহু ট্রেন ও বাস থমকেছিল। বিশেষ করে খেমাশুলিতে জাতীয় সড়ক ও স্টেশন পাশাপাশি থাকায় কুড়মিদের অবরোধ আন্দোলনের ব্যাপক প্রভাব পড়ে।