—প্রতীকী ছবি।
ওলা, উবর, র্যাপিডোর মতো অ্যাপ-নির্ভর বাইক-ট্যাক্সি পরিষেবায় যাত্রীদের লাগেজের ওজন ও মাপের উপর এ বার লাগাম টানল রাজ্য পরিবহণ দফতর। সম্প্রতি এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, যাত্রীরা বাইকে বসে সর্বাধিক ১০ কেজি ওজনের ব্যাগ বা লাগেজ নিয়ে যাত্রা করতে পারবেন। পাশাপাশি, সেই ব্যাগের দৈর্ঘ্য ৩৬ সেন্টিমিটারের বেশি হওয়া চলবে না। এমনকি, যাত্রীরা যে দিকে বসে থাকেন, সেই দিক বা দু’দিক দিয়ে ঝোলানো ব্যাগ থাকলে তার দৈর্ঘ্য ১৫ সেন্টিমিটারের মধ্যে রাখতে হবে।
নয়া এই নির্দেশিকা প্রসঙ্গে পরিবহণ দফতরের যুক্তি, অতিরিক্ত ভারী কিংবা বড় আকারের ব্যাগ নিয়ে বাইকে উঠলে ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। চলন্ত অবস্থায় বাইকের দিক থেকে ঝুলে থাকা ব্যাগ অন্য যানবাহন কিংবা পথচারীদের গায়ে লাগলে ঘটে যেতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। সম্প্রতি শহর ও শহরতলি-সহ বিভিন্ন জেলায় এমন বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনার নজির সামনে এসেছে।
এমন পরিস্থিতিতে রাজ্য জুড়ে বাইক-ট্যাক্সি পরিষেবার নিরাপত্তা ঢেলে সাজতে উদ্যোগী হয়েছে পরিবহণ দফতর। নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছে, সমস্ত বাইক-ট্যাক্সিকে এ বার থেকে হলুদ রঙের নম্বর প্লেট বসাতে হবে, যাতে তাদের আলাদা করে চিহ্নিত করা যায়। এই নিয়ম যথাযথ ভাবে মানা হচ্ছে কি না, তা নজরে রাখতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিয়ম লঙ্ঘন করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক বলেছেন, “অনেক সময় যাত্রীরা ভারী লাগেজ নিয়ে উঠে পড়েন বাইকে। চালক আপত্তি জানালেও যাত্রী মানেন না। তাতে ঝুঁকি বাড়ে। শুধু শহর নয়, জেলাতেও এই পরিষেবা বাড়ছে, ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বাড়ছে।” পথ নিরাপত্তা সপ্তাহে এই নিয়মগুলি প্রচারে জোর দেওয়ার নির্দেশও পাঠানো হয়েছে প্রতিটি জেলায়। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বাইক-ট্যাক্সি চালকদের পাশাপাশি অ্যাপ পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোকেও এই নির্দেশ মানতে হবে। যাত্রীসুরক্ষা ও পথনিরাপত্তার স্বার্থে এই উদ্যোগ যে সময়োপযোগী ও প্রয়োজনীয়, তা মানছেন পরিবহণ বিশেষজ্ঞেরা। তবে এর বাস্তবায়ন কতটা হয়, এখন নজর সেই দিকেই।