দল বদল, টানাপড়েন তৃণমূল-বিজেপিতে

দিনভর এ দিন দফায় দফায় বিজেপিতে যোগদান পর্ব চলে। আরামবাগের সালেপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপ প্রধান-সহ ৮ সদস্য এ দিন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁদের হাতে বিজেপির পতাকা দেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৯ ০২:০৪
Share:

দল বদল নিয়ে টানাপড়েন শুরু হল বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে।

Advertisement

গত মঙ্গলবার আরামবাগ লোকসভার তালপুর এবং চাঁপাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের যথাক্রমে ৭ জন এবং ১১ জন সদস্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপির রাজ্য দফতরে তাঁদের দল বদল করিয়ে মুকুল রায় দাবি করেন, ওই দুই গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে চলে এল। তার পরে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে কয়েক জন ব্যক্তিকে দেখিয়ে দাবি করেন, ওই দুই গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের হাতেই আছে। কারণ ওই দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের সিংহভাগ সদস্য তৃণমূলেই আছেন। মুকুলবাবু রবিবার ফের কয়েক জনকে দলের রাজ্য দফতরে হাজির করিয়ে দাবি করেন, ‘‘তালপুর এবং চাঁপাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশির ভাগ সদস্য বিজেপিতেই এসেছেন। তাঁরা তৃণমূলে ফিরে যাননি।’’

দিনভর এ দিন দফায় দফায় বিজেপিতে যোগদান পর্ব চলে। আরামবাগের সালেপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপ প্রধান-সহ ৮ সদস্য এ দিন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁদের হাতে বিজেপির পতাকা দেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এর ফলে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে এল। ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন এবং পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক ও শিক্ষা বিষয়ক কর্মচারী সমিতি এ দিন বিজেপি-তে যোগ দেয়। তাদের প্রতিনিধিদের হাতেও বিজেপির ঝান্ডা দেন দিলীপবাবু। বিজেপির রাজ্য দফতরের সামনে রাজ্য সহ সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরীর হাত ধরে দলে যোগ দেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং হাসপাতালের নানা কর্মী সংগঠনের সদস্যরা। মেটিয়াব্রুজের আনিসুর রহমান মোল্লার নেতৃত্বে বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী এ দিন সন্ধ্যায় বিজেপিতে যোগ দেন।

Advertisement

খড়্গপুরে শনিবার দিলীপবাবুর রোড শোয়ের আগে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। যদিও তা উপেক্ষা করেই রোড শো করেন দিলীপবাবু। এ দিন আরও এক ধাপ এগিয়ে তিনি হুমকি দেন, ‘‘এ বার থেকে রাজ্যের যেখানেই ১৪৪ ধারা জারি করা হবে, আমি গিয়ে ভাঙব। মুখ্যমন্ত্রী কার অনুমতি নিয়ে যখন-তখন পদযাত্রা, সভা করেন? ১৪৪ ধারা কি শুধু বিজেপির জন্য? আমি সাধারণ মানুষকে বলছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলবেন, তারই বিরোধিতা করুন। তবেই ওঁর মাথা ঠিক হবে।’’ তৃণমূল অবশ্য দিলীপবাবুর ওই বক্তব্যকে আমলই দিচ্ছে না। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘যাঁর (দিলীপ ঘোষ) মাথার ঠিক নেই, তাঁর কথার উত্তর দিয়ে লাভ নেই!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন