— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
পর্ন সাইটে ভিডিয়ো আপলোড করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে! ফোনে এমনটাই জানিয়েছিলেন ‘পুলিশ আধিকারিক’। টাকা না দিলে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হবে বলে ভয়ও দেখানো হয়। ভয়ে স্থায়ী আমানত ভাঙিয়ে দফায় দফায় সাড়ে তিন কোটি টাকা তাঁদের হাতে তুলে দেন ওই ব্যক্তি। পরে জানা যায়, গোটা ঘটনাটাই ছিল সাজানো। গত বছরের ওই ঘটনায় উত্তরবঙ্গ থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় আরও কেউ জড়িত ছিলেন কি না, জানতে চলছে তদন্ত।
ঘটনার সূত্রপাত গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগীর কাছে একটি ফোন আসে। ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে এক ‘পুলিশ আধিকারিক’ তাঁকে বলেন, পর্নোগ্রাফি সাইটে আপত্তিকর ভিডিয়ো আপলোড করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। শুধু তা-ই নয়, তাঁকে বলা হয়, বিপুল অঙ্কের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগের সপক্ষে প্রমাণ হিসাবে দেখানো হয় ইডি, সিবিআই, সুপ্রিম কোর্ট এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নামে বানানো একাধিক ভুয়ো নথিও। সব দেখে ভয় পেয়ে প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেন ওই ব্যক্তি। এর পর তাঁদের কথা মতো সমস্ত স্থায়ী আমানত ভাঙিয়ে প্রায় এক মাস ধরে দফায় দফায় মোট তিন কোটি ৪০ লক্ষ টাকা প্রতারকদের হাতে তুলে দেন তিনি। অক্টোবরের শেষে ভুক্তভোগী বুঝতে পারেন, তিনি প্রতারিত হয়েছেন। তার পরেই তিনি সাইবার অপরাধ দমন শাখার দ্বারস্থ হন।
তদন্তে নেমে আট মাসের মাথায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম কুন্দন মিশ্র এবং দেবযানী নাগ বিশ্বাস। শিলিগুড়ির বাসিন্দা বছর তেত্রিশের কুন্দনের দাবি, তিনি জলপাইগুড়ি আদালতে ওকালতি করেন। অন্য দিকে, ৫২ বছরের দেবযানী শিলিগুড়ি পুরসভার কর্মী। ধৃতদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, তিনটি মোবাইল এবং ব্যাঙ্কের নানা নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দু’জনের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬সি ও ডি এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।