প্রতীকী ছবি।
মোবাইল অ্যাপ মানে শুধুই চ্যাট, সিনেমা দেখা বা সোশাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করা নয়। এ বার মোবাইল অ্যাপে নারী পাচারকারীর গতিবিধি নজরে রেখে দুই নাবালিকাকে উদ্ধার করল সিআইডি-র সাইবার সেল।
আর্ন্তজাতিক নারী পাচার চক্রের হাত থেকে উদ্ধার হওয়া দুই নাবালিকা বীরভূমের বাসিন্দা। নিখোঁজ দুই নাবালিকাকে পশ্চিম এশিয়ার দুবাই শহরে পাচার করা হচ্ছিল বলে দাবি সিআইডির কর্তাদের। মঙ্গলবার বিকেলে কেন্দ্রীয়শাসিত অঞ্চল ‘দাদরা নগর হাভেলি’র সিলভাসা শহর থেকে ওই নাবালিকাদের উদ্ধার করে পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সিআইডি সূত্রের খবর, জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে বীরভূমের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে দুই বোন নিখোঁজ হয়। একই সঙ্গে প্রতিবেশী এক যুবকেরও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিজনেরা সিআইডি’র সাইবার সেলে এসে দু’বোনের নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন শান্তিনিকেতন থানায়।
সিআইডির এক কর্তার কথায়, ‘‘সোমবার ওই যুবকের মোবাইল টাওয়ার লোকেশনে দেখা যায়, সিলভাসা শহরে ওই যুবক ঘুরে বেড়াচ্ছে। ঘন ঘন জায়গা বদলও করছে। তার পরই সিলভাসা থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।’’ সোমবার বিকেলে সিলভাসার পুলিশকে একটি নির্দিষ্ট ঠিকানার হদিশ দেওয়া হয়। সেখানে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে দুই বোন উদ্ধার হয়। কিন্তু ওই পাচারকারী যুবক চম্পট দেয়। ঘণ্টাখানেক পরে অন্য একটি জায়গায় যুবকের অবস্থান জানান দেয় ‘অ্যাপ’। সেখানে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে পাচারচক্রের দুই পাণ্ডাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা।
ভবানীভবনে সিআইডির সদর দফতর থেকেই ওই পাচারচক্রের পাণ্ডাকে গ্রেফতার ও দুই নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করছে সিআইডি। মঙ্গলবার সিআইডির একটি দল বিমানে সিলভাসা আসেন। সঙ্গে ওই দুই নাবালিকার পরিজনরা।
সিআইডির এক কর্তার কথায়, ‘‘বীরভূম থেকে ওই দুই নাবালিকাকে সিলভাসা এলাকায় পাচার করা হয়েছিল। আর্ন্তজাতিক নারী পাচারচক্রের কাছে দুই বোনকে আড়কাঠিরা বিক্রি করে দেওয়ার ছক কষে বলে দাবি করছেন তদন্তকারীরা। মোটা টাকার বিনিময়ে তাদের দুবাইয়ে বিক্রির পরিকল্পনা ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জেনেছেন সিআইডির কর্তারা। সিআইডির এডিজি রাজেশ কুমার বলেন, ‘‘সাইবার সেলের তৎপরতায় ওই দুই নাবালিকা উদ্ধার হয়েছে। পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত আড়কাঠিদের খোঁজ চলছে।’’ সাইবার দফতরের অফিসারদের দাবি, ওই পাচারচক্রের আড়কাঠিদের প্রতি মিনিটের গতিবিধি কলকাতা থেকেই জরিপ করে গ্রেফতার করা হয়েছে।